ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় নবীনগরে রিপন মুন্সির হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঝুঁকির মুখে কালনী এক্সপ্রেস, চালকের দক্ষতায় রক্ষা নবীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশ্বাস ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন শ্রম অধিদপ্তরের নতুন ডিজি এ কে এম তারিকুল আলম ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)’র উদ্যোগে মরহুম প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খানের স্মরণে শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত কোরবানির উপলক্ষে – বাবুগঞ্জে কামাররা ব্যস্ততা সময় পার করছে বারবার ভূল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; ক্লিনিক বন্ধের দাবি সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী শিশুর মৃত্যু, চালকসহ আহত ৬ পাবিপ্রবি’র প্রথম জাতীয় কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে: ফারুক হোসেন চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ১২ বাংলাদেশী আটক

যুক্তরাজ্যে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদের সন্ধান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ার অভিযোগের মুখে পড়েছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম, যিনি পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে টানা দুবার নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আপসানা বেগম বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য নয়, আমাদের জানামতে তার আরও বিপুল সম্পদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। আমার নিজ নির্বাচনী এলাকাতেই তার ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কারণে আমি বিষয়টি নিয়ে নজর দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।” আপসানা বেগম জানান, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি তদন্তের জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে চিঠি লিখেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে অবৈধ সম্পদ পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে আপসানা বেগম বলেন, “মানি লন্ডারিং এবং সম্পত্তি চুরি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি, তারা চাই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিকভাবে উন্নতি করুক।”

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা ষষ্ঠ অবস্থানে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লিগ্যাসি হিসেবে কাজ করতে পারে।

এছাড়া, তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেন। “যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে অবগত ছিল এবং আমার মোশন নিয়ে সংসদে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। তরুণ প্রজন্ম তাদের অধিকার ও স্বচ্ছলতার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে”— যোগ করেন আপসানা।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে থাকা বিষয়গুলো এবং আপসানা বেগমের উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে পরিবর্তিত করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে আগামী দিনগুলিতে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠনে সহায়তা করবে।

এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সরকার কতটা গুরুত্বের সঙ্গে এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবৈধ সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

Verified by MonsterInsights

যুক্তরাজ্যে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান

আপডেট সময় ১২:০২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদের সন্ধান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ার অভিযোগের মুখে পড়েছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম, যিনি পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে টানা দুবার নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আপসানা বেগম বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য নয়, আমাদের জানামতে তার আরও বিপুল সম্পদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। আমার নিজ নির্বাচনী এলাকাতেই তার ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কারণে আমি বিষয়টি নিয়ে নজর দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।” আপসানা বেগম জানান, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি তদন্তের জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে চিঠি লিখেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে অবৈধ সম্পদ পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে আপসানা বেগম বলেন, “মানি লন্ডারিং এবং সম্পত্তি চুরি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি, তারা চাই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিকভাবে উন্নতি করুক।”

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা ষষ্ঠ অবস্থানে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লিগ্যাসি হিসেবে কাজ করতে পারে।

এছাড়া, তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেন। “যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে অবগত ছিল এবং আমার মোশন নিয়ে সংসদে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। তরুণ প্রজন্ম তাদের অধিকার ও স্বচ্ছলতার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে”— যোগ করেন আপসানা।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে থাকা বিষয়গুলো এবং আপসানা বেগমের উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে পরিবর্তিত করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে আগামী দিনগুলিতে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠনে সহায়তা করবে।

এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সরকার কতটা গুরুত্বের সঙ্গে এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবৈধ সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।