উত্তরাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তবে গত কিছুদিনে তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। এর ফলে শীতের তীব্রতা কমে এসেছে এবং এমনকি শৈত্যপ্রবাহের কবলে থাকা এলাকা তেঁতুলিয়া ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে শীতের আঘাত কমেছে। বিশেষ করে কুয়াশার কারণে জীবনযাত্রা ব্যাহত হলেও এখন শীতের ছন্দপতন কেন হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাব। এই লঘুচাপের কারণে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শীতের তীব্রতা কমে গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে, যা চলবে রোববার পর্যন্ত। বিশেষত উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে, তবে শৈত্যপ্রবাহের পুনরায় আগমন খুবই কম।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ এসব মেঘ দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে এবং রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে, তবে শৈত্যপ্রবাহের ঝুঁকি কম।
এছাড়া, লঘুচাপটি শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না বলেও জানান আবহাওয়াবিদরা। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে শুক্র ও শনিবার উপকূলীয় এলাকায় ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
সর্বশেষ, আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, লঘুচাপের প্রভাবে হিমালয় থেকে আসা শীতল বাতাসের গতিপথ আটকে গেছে, যার ফলে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তবে আগামী তিনদিন শীত হালকা বাড়লেও শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা থাকার আশঙ্কা কম।