ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ মো. ফজলুর রহমানকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মৌলভীবাজারের বড়লেখা ভূমি অফিসে জালিয়াতির অপরাধে রিমান্ডে ৪ আসামি সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন ও ২ টি চুনা কারখানা গুড়িয়ে দেন তিতাস কর্তৃপক্ষ ফুলবাড়িয়ায় টিসিবির ডিলার ২৮৩ কার্ডের পণ্য বিক্রি করে দিয়েছে ভুল সন্দেহে নির্মমতা: বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর প্রতিবন্ধী যুবককে নবীগঞ্জে পূজামণ্ডপে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা : আহত ৩, গ্রেফতার ২ ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ারের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনেরা সাভার সরকারি কলেজের মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় (ইমু ইমরান) সভাপতি পদ পেয়েছেন প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে নবীনগরে ৮ কোটি টাকার পানি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ৪ হাজার ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেফতার পাবনায় চরমপন্থি নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

মুরগি, শিম-কাঁচামরিচের দ্বিগুণ দাম

ক্রেতাদের হাঁসফাঁস

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। তবে তার চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা; এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া টমেটো প্রতি কেজি ২৬০, বেগুনের কেজি ১৮০ টাকা।

অন্যান্য প্রায় সবজির দামই শতকের ঘর ছাড়িয়েছে। সবজির বাজারের এই উচ্চাবস্থানে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, মাত্রা অতিরিক্ত হচ্ছে সবজির দাম। সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। কিন্তু সবজির বাজার সেই সীমা লঙ্ঘন করছে। এভাবে চলতে দেওয়া উচিত না।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। বেশিরভাগ সবজিই ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচাবাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করতে আসেন সিনিয়র সহকারী সচিব ফুয়ারা খাতুন। তার নেতৃত্বে ডিম, মাংস, মুদি দোকানে অভিযান চললেও সবজির বাজারে চলেনি অভিযান, এমন তথ্য জানিয়েছেন বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শাহ আলম।

সবজির অতিরিক্ত দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধিকাংশ বিক্রেতাই দোহাই দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গের বন্যার।

আজকের কাঁচাবাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা; প্রতিটিই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে ভারতীয় টমেটো ২৬০ টাকা, দেশি গাজর ১৫০ টাকা, চায়না গাজর ১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১২০ টাকা, কালো গোল বেগুন (তালবেগুন) ১৮০ টাকা, শসা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৯০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১৬০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ও চাল কুমড়া ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৫০ টাকা, আর লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে। এক্ষেত্রে দেখা যায় প্রায় সব সবজির দাম শতকের ঘর ছাড়িয়েছে। তবে কেবল শতকের ঘরই ছাড়ায়নি, শতক পেরিয়েও লাফিয়ে বেড়েছে বেশ কিছু সবজির দাম।

গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৯০ টাকা  পর্যন্ত। ভারতীয় টমেটো ও কাঁচামরিচের দাম এক লাফে প্রতি কেজিতে বেড়েছে যথাক্রমে ৯০ ও ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে দেশি গাজর, পেঁপে, চিচিঙ্গার দাম। আর হালিতে ১০ টাকা বেড়েছে কাঁচা কলার দাম। আবার প্রতি কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে লম্বা বেগুন, কালো গোল বেগুন, ঢেঁড়স, পটল, ধুন্দল ও বরবটির। চাল কুমড়ার দামও বেড়েছে প্রতি পিসে প্রায় ১০-২০ টাকা। অবশ্য কচুরমুখীর দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। আর অন্যান্য সবজির দাম উচ্চাবস্থানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবজির এই অতিরিক্ত দাম নিয়ে বিক্রেতা মো. শাহ আলম বলেন, আমাদের দেশে মূলত সবজি উত্তরবঙ্গেই বেশি হয়। সেদিকে বন্যা হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। ওদিকে সবজি চাষে সমস্যা হলে বাজারে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে। এখনও সেটাই হচ্ছে। বন্যা-বৃষ্টি কমলে সবজির দাম কমে আসবে বলে ধারণা করছি।

আরেক বিক্রেতা বলেন, শিমের কেজি ৪০০ টাকা। এটা সত্যিই অনেক বেশি। এই সময়ে এই দাম থাকার কথা না। কিছুদিন আগেও আমরা ১৫০- ২০০ টাকায় শিম বিক্রি করেছি। কিন্তু আজকে এতো বাড়লো যে মানুষ কিনতে পারছে না। বাজারে সবজির অতিরিক্ত দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারাও।

বাজার করতে আসা মাহফুজুর রহমান নামে একজন বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। সবজির দামতো অত্যধিক। সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। সবজির দাম সেই সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। এভাবে আমরা চলতে পারি না। এর দ্রুত সমাধান দরকার।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ মো. ফজলুর রহমানকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

Verified by MonsterInsights

মুরগি, শিম-কাঁচামরিচের দ্বিগুণ দাম

আপডেট সময় ০৮:২৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। তবে তার চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা; এগুলো বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া টমেটো প্রতি কেজি ২৬০, বেগুনের কেজি ১৮০ টাকা।

অন্যান্য প্রায় সবজির দামই শতকের ঘর ছাড়িয়েছে। সবজির বাজারের এই উচ্চাবস্থানে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, মাত্রা অতিরিক্ত হচ্ছে সবজির দাম। সব কিছুরই একটা সীমা থাকে। কিন্তু সবজির বাজার সেই সীমা লঙ্ঘন করছে। এভাবে চলতে দেওয়া উচিত না।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। বেশিরভাগ সবজিই ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল মিরপুর-১ নম্বরের কাঁচাবাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করতে আসেন সিনিয়র সহকারী সচিব ফুয়ারা খাতুন। তার নেতৃত্বে ডিম, মাংস, মুদি দোকানে অভিযান চললেও সবজির বাজারে চলেনি অভিযান, এমন তথ্য জানিয়েছেন বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শাহ আলম।

সবজির অতিরিক্ত দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধিকাংশ বিক্রেতাই দোহাই দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গের বন্যার।

আজকের কাঁচাবাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা; প্রতিটিই বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে ভারতীয় টমেটো ২৬০ টাকা, দেশি গাজর ১৫০ টাকা, চায়না গাজর ১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ১২০ টাকা, কালো গোল বেগুন (তালবেগুন) ১৮০ টাকা, শসা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৯০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১৬০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ও চাল কুমড়া ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৫০ টাকা, আর লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে। এক্ষেত্রে দেখা যায় প্রায় সব সবজির দাম শতকের ঘর ছাড়িয়েছে। তবে কেবল শতকের ঘরই ছাড়ায়নি, শতক পেরিয়েও লাফিয়ে বেড়েছে বেশ কিছু সবজির দাম।

গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ৯০ টাকা  পর্যন্ত। ভারতীয় টমেটো ও কাঁচামরিচের দাম এক লাফে প্রতি কেজিতে বেড়েছে যথাক্রমে ৯০ ও ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে দেশি গাজর, পেঁপে, চিচিঙ্গার দাম। আর হালিতে ১০ টাকা বেড়েছে কাঁচা কলার দাম। আবার প্রতি কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে লম্বা বেগুন, কালো গোল বেগুন, ঢেঁড়স, পটল, ধুন্দল ও বরবটির। চাল কুমড়ার দামও বেড়েছে প্রতি পিসে প্রায় ১০-২০ টাকা। অবশ্য কচুরমুখীর দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। আর অন্যান্য সবজির দাম উচ্চাবস্থানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবজির এই অতিরিক্ত দাম নিয়ে বিক্রেতা মো. শাহ আলম বলেন, আমাদের দেশে মূলত সবজি উত্তরবঙ্গেই বেশি হয়। সেদিকে বন্যা হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। ওদিকে সবজি চাষে সমস্যা হলে বাজারে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে। এখনও সেটাই হচ্ছে। বন্যা-বৃষ্টি কমলে সবজির দাম কমে আসবে বলে ধারণা করছি।

আরেক বিক্রেতা বলেন, শিমের কেজি ৪০০ টাকা। এটা সত্যিই অনেক বেশি। এই সময়ে এই দাম থাকার কথা না। কিছুদিন আগেও আমরা ১৫০- ২০০ টাকায় শিম বিক্রি করেছি। কিন্তু আজকে এতো বাড়লো যে মানুষ কিনতে পারছে না। বাজারে সবজির অতিরিক্ত দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারাও।

বাজার করতে আসা মাহফুজুর রহমান নামে একজন বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি। সবজির দামতো অত্যধিক। সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। সবজির দাম সেই সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। এভাবে আমরা চলতে পারি না। এর দ্রুত সমাধান দরকার।