ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় নবীনগরে রিপন মুন্সির হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঝুঁকির মুখে কালনী এক্সপ্রেস, চালকের দক্ষতায় রক্ষা নবীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশ্বাস ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন শ্রম অধিদপ্তরের নতুন ডিজি এ কে এম তারিকুল আলম ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)’র উদ্যোগে মরহুম প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খানের স্মরণে শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত কোরবানির উপলক্ষে – বাবুগঞ্জে কামাররা ব্যস্ততা সময় পার করছে বারবার ভূল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; ক্লিনিক বন্ধের দাবি সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী শিশুর মৃত্যু, চালকসহ আহত ৬ পাবিপ্রবি’র প্রথম জাতীয় কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে: ফারুক হোসেন চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ১২ বাংলাদেশী আটক

হাইকোর্টের আদেশে সত্ত্বেও উচ্ছেদ হয়নি আওয়ামী লীগের কার্যালয়

হাইকোর্টের আদেশে খুলনার পাইকগাছায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও উচ্ছেদ হয়নি সাবেক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

জানা যায়, ১৯৮০ সালে পাইকগাছা পৌর সদরে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্কের চারপাশে নানান প্রকার গাছের চারা, ফুলের বাগান, বিনোদন ও বসার জন্য তৈরি করা হয় সুন্দর পরিবেশ। কয়েক বছর যাবৎ সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার সুযোগে ২০০৪ সালে এক শ্রেণির লোক পার্কের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকে। যা বন্ধের দাবীতে সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক ও আব্দুল মজিদকে সদস্য সচিব করে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। শুরু হয় আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিভিন্ন দপ্তরে করা হয় অভিযোগ। তারপরও দখলবাজি বন্ধ না হওয়ায় সহকারী জর্জ আদালত পাইকগাছায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করা হয়। আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ ও ব্যবসা অব্যাহত থাকলে সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে হাইকোর্টে ৩৫৯০/০৫ রিট পিটিশন করেন। হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে ২০০৫ সালের ২৪ মে মধুমিতা পার্কের অভ্যন্তরে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন। সে আদেশও অমান্য করায় অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ১০২/২২ কনটেম্ট পিটিশন করা হয়। শুনানি অন্তে গত ১৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদেরকে ২০ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ প্রদান করেন। সেটাও অমান্য করতে থাকায় পুনরায় আদালতকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুনঃআদেশে ২০ মে ২০২৩ তারিখ খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের উপস্থিটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে উচ্ছেদ করা হয় ৩০টি পাকা স্থাপনা, কিন্তু দুইতলা বিশিষ্ট কয়েক কক্ষের আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি থেকে যায় অক্ষত। আজও হাইকোর্টের আদেশে‌ উচ্ছেদ করা হয়নি সাবেক ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।  যা উচ্ছেদের জোর দাবী তুলেছেন পাইকগাছায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহের নাজনীন জানান, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরণের তেমন কিছু থাকলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।”

এদিকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যদি এখনো কোনো অবৈধ স্থাপনা থেকে থাকে তাহলে যে কেউ একটা দরখাস্ত দিলে সাথে সাথে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

Verified by MonsterInsights

হাইকোর্টের আদেশে সত্ত্বেও উচ্ছেদ হয়নি আওয়ামী লীগের কার্যালয়

আপডেট সময় ০৬:৫২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

হাইকোর্টের আদেশে খুলনার পাইকগাছায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও উচ্ছেদ হয়নি সাবেক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

জানা যায়, ১৯৮০ সালে পাইকগাছা পৌর সদরে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্কের চারপাশে নানান প্রকার গাছের চারা, ফুলের বাগান, বিনোদন ও বসার জন্য তৈরি করা হয় সুন্দর পরিবেশ। কয়েক বছর যাবৎ সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার সুযোগে ২০০৪ সালে এক শ্রেণির লোক পার্কের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকে। যা বন্ধের দাবীতে সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক ও আব্দুল মজিদকে সদস্য সচিব করে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। শুরু হয় আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিভিন্ন দপ্তরে করা হয় অভিযোগ। তারপরও দখলবাজি বন্ধ না হওয়ায় সহকারী জর্জ আদালত পাইকগাছায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করা হয়। আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ ও ব্যবসা অব্যাহত থাকলে সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে হাইকোর্টে ৩৫৯০/০৫ রিট পিটিশন করেন। হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে ২০০৫ সালের ২৪ মে মধুমিতা পার্কের অভ্যন্তরে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন। সে আদেশও অমান্য করায় অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ১০২/২২ কনটেম্ট পিটিশন করা হয়। শুনানি অন্তে গত ১৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদেরকে ২০ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ প্রদান করেন। সেটাও অমান্য করতে থাকায় পুনরায় আদালতকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুনঃআদেশে ২০ মে ২০২৩ তারিখ খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের উপস্থিটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে উচ্ছেদ করা হয় ৩০টি পাকা স্থাপনা, কিন্তু দুইতলা বিশিষ্ট কয়েক কক্ষের আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি থেকে যায় অক্ষত। আজও হাইকোর্টের আদেশে‌ উচ্ছেদ করা হয়নি সাবেক ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।  যা উচ্ছেদের জোর দাবী তুলেছেন পাইকগাছায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহের নাজনীন জানান, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরণের তেমন কিছু থাকলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।”

এদিকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যদি এখনো কোনো অবৈধ স্থাপনা থেকে থাকে তাহলে যে কেউ একটা দরখাস্ত দিলে সাথে সাথে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”