বিশ্বনবী রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নামে কটূক্তিকারী ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানেকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য ভারত একেক সময় একেক ইস্যু তৈরি করে। আমরা ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই রাসূলকে সা. নিয়ে কটূক্তি করে কেউ কোনোদিন ছাড় পায়নি। রাসূলকে নিয়ে যারা এমন অসভ্য খেলা শুরু করেছে তার খেসারত দিতে প্রস্তুত হোন। যারা প্রিয়নবীর ইজ্জতের বরখেলাপ করবে আমরা তাদের ছাড় দিতে রাজি নই।
তারা আরো বলেন, রামগিরি মহারাজ এবং বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে সাবধান হয়ে যান। ভারত সরকারকে বলছি অনতিবিলম্বে এই কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। তা নাহলে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে।
বক্তারা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে দেশে নতুন কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো দেশে যেন কেউ রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি না করতে পারে সেজন্য সংসদে আইন প্রণয়ন করুন। আল্লাহর নবীকে অস্বীকারকারীকে শিক্ষা পরিমার্জন কমিটি রাখা যাবে না। যদি তাকে অপসারণ করা না হয় তাহলে কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, সহকারী প্রচার সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী, সহকারী দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।