কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু (৫০) কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তাঁদের লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে আসার পর উত্তেজনা বেড়ে যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকেরা ছবি নিতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হন কয়েকজন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাঁকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।