ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ছেলে খুন, ঘাতক পিতা আটক মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে দিনে দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে টাকা ছিনতাই জয়পুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি ডিমলায় র‍্যাবের হাতে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার টুঙ্গিপাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ মাছের খাবার বিক্রি: ৫ হাজার টাকা জরিমানা পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পাইকগাছার রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ বদলগাছীতে ৮ হাজার ২শ ২০ বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খানের মতবিনিময়

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিখ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, অর্থদাতা হিসেবে প্যারিস চুক্তি থেকে তারা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে চুক্তির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্যারিসে প্রায় ২০০টি দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি রোধ করতে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চুক্তি কার্যকর না হলে পৃথিবী মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

এদিকে, গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস চুক্তি থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ দেন। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রথমবারের মতো তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি ত্যাগের কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, প্যারিস চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি, যা দেশের শিল্পক্ষেত্র এবং কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি করবে।

তবে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছেন। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ কার্বন নিঃসরণকারী একটি দেশ যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে, তা হবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করলো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০১:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিখ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, অর্থদাতা হিসেবে প্যারিস চুক্তি থেকে তারা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে চুক্তির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্যারিসে প্রায় ২০০টি দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি রোধ করতে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চুক্তি কার্যকর না হলে পৃথিবী মারাত্মক জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

এদিকে, গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস চুক্তি থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ দেন। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রথমবারের মতো তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি ত্যাগের কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, প্যারিস চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি, যা দেশের শিল্পক্ষেত্র এবং কর্মসংস্থানে বাধা সৃষ্টি করবে।

তবে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছেন। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ কার্বন নিঃসরণকারী একটি দেশ যদি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে, তা হবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা।