ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ভারতের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে আলোচনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ধানমন্ডি ৩২’ মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৪ পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব শেখ মুজিবকে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক্সে পোস্টের সত্যতা! অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক ক্ষেতলালে ইউএনওর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ময়মনসিংহে শিশুকে অপহরণ করে লাশ গুমের ঘটনায় যুবকের আমৃত্যু কারাদন্ড মৌলভীবাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের দু’টি পৃথক ম্যুরাল ভাংচুর করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা মৌলভীবাজার কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী উৎসব ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিকের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: ইন্সট্রাকটরকে মারধর

সাইবার নিরাপত্তা আইন সংস্কার অচিরেই: আসিফ নজরুল

মতবিনিময় সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিগত সরকারের আমলে তথ্য অধিকার বিনাশ করা হয়েছিলো জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ গণবিরোধী আইন সংস্কার করা হবে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার-এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ তথ্য অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। কারণ এ অধিকারটা অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া কিন্তু সব অধিকার মূল্যহীন। প্রত্যেকটা অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকারটা সংযুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ ঠিক না থাকলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশন এ ধরনের সংস্থার কোনো কার্যক্ষমতা থাকবে না। তথ্য অধিকারের কথা বলেন এ ব্যক্তিদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা এবং গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলা উচিত বলেও মনে করেন উপদেষ্টা।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ বিগত সরকার বিচারবিভাগকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল, সংসদকে লুটপাটের ফোরাম হিসেবে তৈরি করেছিল। আমাদের উচিত এসব বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ আমরা একটা সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে পারতাম না। নাম উচ্চারণ করা যাবে না, এভাবে উল্লেখ করতে হতো। উনি (শেখ হাসিনা) একটা অত্যাচারী দানবে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি তার প্রতিবাদ করেছিলাম? করিনি। আমরা যখন প্রতিবাদ করেছিলাম তখন ১০ জনের বেশি লোক পেতাম না। সুতরাং এ বিষয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না। দুঃশাসনের সময়ে প্রতিবাদ করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। প্রতিবাদটা সবসময়ই বজায় রাখতে হবে। এমনকি আমাদেরও যদি কোনো ভুল হয় তারও প্রতিবাদ জানাতে হবে।’

এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১ মো. আবু সাইদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অনেকে। 

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

সাইবার নিরাপত্তা আইন সংস্কার অচিরেই: আসিফ নজরুল

আপডেট সময় ০৭:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিগত সরকারের আমলে তথ্য অধিকার বিনাশ করা হয়েছিলো জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ গণবিরোধী আইন সংস্কার করা হবে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার-এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ তথ্য অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। কারণ এ অধিকারটা অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া কিন্তু সব অধিকার মূল্যহীন। প্রত্যেকটা অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকারটা সংযুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ ঠিক না থাকলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশন এ ধরনের সংস্থার কোনো কার্যক্ষমতা থাকবে না। তথ্য অধিকারের কথা বলেন এ ব্যক্তিদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা এবং গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলা উচিত বলেও মনে করেন উপদেষ্টা।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ বিগত সরকার বিচারবিভাগকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল, সংসদকে লুটপাটের ফোরাম হিসেবে তৈরি করেছিল। আমাদের উচিত এসব বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ আমরা একটা সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে পারতাম না। নাম উচ্চারণ করা যাবে না, এভাবে উল্লেখ করতে হতো। উনি (শেখ হাসিনা) একটা অত্যাচারী দানবে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি তার প্রতিবাদ করেছিলাম? করিনি। আমরা যখন প্রতিবাদ করেছিলাম তখন ১০ জনের বেশি লোক পেতাম না। সুতরাং এ বিষয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না। দুঃশাসনের সময়ে প্রতিবাদ করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। প্রতিবাদটা সবসময়ই বজায় রাখতে হবে। এমনকি আমাদেরও যদি কোনো ভুল হয় তারও প্রতিবাদ জানাতে হবে।’

এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১ মো. আবু সাইদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ অনেকে।