মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। ভূমিকম্প ঝুঁকির কথা জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভূমিকম্প মোকাবিলায় সর্বস্তরে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবন সংস্কার ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা এবং ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইন যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমিকম্প চলাকালীন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জরুরি টেলিফোন নম্বর (ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসপাতাল) সংরক্ষণ ও দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, দুর্যোগকালীন কার্যকর ভূমিকার জন্য স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন টর্চলাইট, রেডিও, বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, ফার্স্ট এইড বক্স এবং শিশু যত্ন সামগ্রী নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের ০১৭২২৮৫৬৮৬৭ মোবাইল নম্বর এবং ১০২ হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।