ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা সুনামগঞ্জের বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা শহরের কাছাকাছি স্থাপনের জন্য ৬দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পাংশায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কাবিখা প্রকল্পে কাগজে কলমে উন্নয়ন, মাঠে দুর্নীতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

মেয়র ঘোষণা নিয়ে চলমান সমালোচনার জবাব দিলেন ইশরাক

বিএনপির ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে কথা বলছেন ইশরাক হোসেন। সঙ্গে রয়েছেন রুহুল কবির রিজভী।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালতের রায়ে জয়ী ঘোষণার পর বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এসব সমালোচনার জবাবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি হারেননি, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা, ভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

ইশরাক হোসেন বলেন, “ভোটের পরপরই আমি আইন অনুযায়ী মামলা করেছিলাম। কিন্তু সেই মামলাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি লড়াই চালানোর পর আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন মাধ্যমে কেউ কেউ এই রায় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তারা হয়তো জানেন না, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হয়। আমি সেই সময়ের মধ্যেই মামলা করেছিলাম। ১৮০ দিনের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও তৎকালীন সরকার প্রভাব খাটিয়ে তা আটকে রেখেছিল।”

ইশরাকের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, “২০২০ সালের নির্বাচনে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করা হয়, ইভিএমে জালিয়াতি করা হয় এবং ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়। এত অনিয়মের পরেও নির্বাচন কমিশন শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করেছিল। সেই ফল চ্যালেঞ্জ করে ইশরাক হোসেন আদালতে মামলা করেন, যা দীর্ঘদিন পরে নিষ্পত্তি হলো।”

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের আগের ফল ও সরকারের জারি করা গেজেট বাতিল করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরের এবং ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন পরদিনই গেজেট প্রকাশ করে। পরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের মেয়র পদ বাতিল করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার

Verified by MonsterInsights

মেয়র ঘোষণা নিয়ে চলমান সমালোচনার জবাব দিলেন ইশরাক

আপডেট সময় ০৪:১০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালতের রায়ে জয়ী ঘোষণার পর বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এসব সমালোচনার জবাবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি হারেননি, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা, ভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

ইশরাক হোসেন বলেন, “ভোটের পরপরই আমি আইন অনুযায়ী মামলা করেছিলাম। কিন্তু সেই মামলাকে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি লড়াই চালানোর পর আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন মাধ্যমে কেউ কেউ এই রায় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তারা হয়তো জানেন না, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হয়। আমি সেই সময়ের মধ্যেই মামলা করেছিলাম। ১৮০ দিনের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার কথা থাকলেও তৎকালীন সরকার প্রভাব খাটিয়ে তা আটকে রেখেছিল।”

ইশরাকের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, “২০২০ সালের নির্বাচনে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করা হয়, ইভিএমে জালিয়াতি করা হয় এবং ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়। এত অনিয়মের পরেও নির্বাচন কমিশন শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করেছিল। সেই ফল চ্যালেঞ্জ করে ইশরাক হোসেন আদালতে মামলা করেন, যা দীর্ঘদিন পরে নিষ্পত্তি হলো।”

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের আগের ফল ও সরকারের জারি করা গেজেট বাতিল করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরের এবং ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন পরদিনই গেজেট প্রকাশ করে। পরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের মেয়র পদ বাতিল করা হয়।