বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহার এবং অনিয়মের মাধ্যমে ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক পদ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে এবং এ বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুদকের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার ও অনিয়ম করা হয়েছে।
এই অভিযোগে দুদক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতুলকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, এবং দুদক জানিয়েছে, এই নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাব ছিল।
এদিকে, পুতুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্বের বৃহত্তম পিটিশন প্ল্যাটফর্ম চেঞ্জ ডট ওআরজি-এ ‘পুতুলকে হু থেকে অপসারণের দাবিতে’ পিটিশন শেয়ার করা হয়েছে।
মানবাধিকার কর্মীদের সংগঠন ‘অ্যাক্ট নাও বাংলাদেশ’ পিটিশনে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অপসারণের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগ দিন, কারণ তার শাসনব্যবস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।”
তবে, এর মধ্যে পুতুলের অবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেই জানতে চাচ্ছিলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কি এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন? এ প্রশ্নের উত্তর মিলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। ২৮ জানুয়ারি তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুতুল এখনো স্বপদে রয়েছেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
আজ (২৮ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডের মাহিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরিরাজ হাসপাতালের সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে পুতুল উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই সুযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে আঘাত ও ট্রমা প্রতিরোধে ‘হু’-এর সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
এখনো তার নিয়োগ এবং পদত্যাগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত না আসলেও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।