নোয়াখালী জেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সকল উপজেলা প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন, “টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে এর জন্য দরকার কাজের গুণগত মান ঠিক রাখা। যে প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে, সেগুলোর গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে শেষ করা, তাহলে প্রকল্পগুলোর সুফল জনগণ পাবে।”
তিনি বলেন, “নোয়াখালী জেলা এলজিইডির অধীনে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিতে আমি চাই কাজের মান আরো উন্নত হোক। যে প্রকল্পগুলো প্রক্রিয়াধীন, সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা। এতে অর্থও বাঁচবে, জনগণ উপকৃত হবে। মাননীয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মহোদয়, মাননীয় সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়ের দিকনির্দেশনা মোতাবেক ইনশাআল্লাহ আমরা নোয়াখালী এলজিইডির কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার সকল উপজেলা প্রকৌশলী এবং কাজ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি, শহরের সুবিধা গ্রামে যাবে। আর আপনারা হচ্ছেন এলজিইডির প্রাণ। আপনারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন। আর যদি কোনো ঠিকাদারের কাজের মান খারাপ হয়, তাহলে ঐ ঠিকাদার এবং কাজের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।”
তিনি বাংলাদেশ সময়কে আরো বলেন, উপজেলাগুলোতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন কাজগুলো বাস্তবায়নে গতি কম তথ্য দেওয়ার জন্য। সকল ঠিকাদারদের জুন মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে কাজ শেষ করার। কাজ চলমান অবস্থায় ত্রুটি শনাক্ত করতে হবে এবং সঠিক মনিটরিং করলে অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কাজ শেষ করার পরে যদি কোনো ত্রুটি দেখা যায়, কাজ সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেলার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডল কৌশিক বলেন, “নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয়ের নির্দেশে নাগরিক সেবা সুনিশ্চিত করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা সকলের সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে আমরা উন্নয়ন কর্মকান্ডে গতি আনতে কাজ করে যাচ্ছি।”