ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল নিষিদ্ধ হবে: মির্জা ফখরুল বাজিতপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি সাকের, সাধারণ সম্পাদক ফাত্তাহ মির্জাপুরে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” এর পরিবর্তিত নাম “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” বোয়ালখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা কিশোরগঞ্জে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত নবীনগর প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি শান্তি, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল অবৈধভাবে পুকুর খননের মাটি বিক্রির অপরাধে দেড় লাখ টাকা জরিমানা মাগুরায় “ডেভিল হান্ট” অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১ জন গ্রেপ্তার ফুলবাড়ীতে সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে অনগ্রসরদের অধিকতর অন্তর্ভুক্তি শীর্ষক কর্মশালা শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ঋতুরাজ বসন্ত বরণ উৎসব এর উদ্বোধন

রাতভর ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা একে অপরকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়াছুড়ি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পরিণত হয়।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে ঢাবি প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে যান। তবে, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাদের দাবিগুলি উপেক্ষা করেন। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগ রয়েছে, প্রো-ভিসি সাত কলেজের বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের সামনে অশোভন আচরণ করেন। তার এ আচরণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবরোধ করেন। পরে রাত ১১টার দিকে ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাবি এলাকায় প্রবেশ করেন।

এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত সংলগ্ন মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়।

শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসনসংখ্যা কমানোর বিষয়ে প্রো-ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এরই মধ্যে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ:

১. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

২. শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।

৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।

৫. ভর্তি ফি নিয়ে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সাথে সমন্বয় করে ঢাবি ছাড়া নতুন একটি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

Verified by MonsterInsights

রাতভর ঢাবি-সাত কলেজ সংঘর্ষ

আপডেট সময় ১০:১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা একে অপরকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়াছুড়ি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পরিণত হয়।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে যখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে ঢাবি প্রো-ভিসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে যান। তবে, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাদের দাবিগুলি উপেক্ষা করেন। এ সময় প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগ রয়েছে, প্রো-ভিসি সাত কলেজের বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের সামনে অশোভন আচরণ করেন। তার এ আচরণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবরোধ করেন। পরে রাত ১১টার দিকে ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাবি এলাকায় প্রবেশ করেন।

এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত সংলগ্ন মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের প্রবেশমুখে অবস্থান নেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়।

শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসনসংখ্যা কমানোর বিষয়ে প্রো-ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এরই মধ্যে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ:

১. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

২. শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।

৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।

৫. ভর্তি ফি নিয়ে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সাথে সমন্বয় করে ঢাবি ছাড়া নতুন একটি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখতে হবে।