ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগরে পাগলা নদীর ওপর ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়। ব্রিজের পশ্চিম উত্তর পাশে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ভেঙ্গে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেছে কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে প্রবাসী আব্দুস সাত্তার। জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ভেঙে ভবন নির্মাণ করার পর প্রশাসন কোনো প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর পূর্বে কৃষ্ণনগর থেকে জেলা সদরে যেতে পাগলা নদীতে নৌকা দিয়ে পাড় হতো সাধারণ যাত্রীরা। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এই পাগলা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন অতি সহজেই জেলা সদরে গাড়ি দিয়ে অল্প সময়ে যাতায়েত করতে পারে। ব্রিজ নির্মাণ করার পর ব্রিজের দুই পাশে সরকারি জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় পিলার বসানো হয়েছে, যেন রাস্তাটি ভেঙ্গে না পরে। কিন্তু গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল রাস্তার পাশের সরকারি জায়াগা দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন।
অভিযুক্ত সাত্তার মিয়া প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী সাথী আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে বলেন, ভবন নির্মাণের বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব অবগত আছেন। সরকারি জায়গায় বিল্ডিং নির্মাণ করেছি, যখন সরকারের জায়গা প্রয়োজন হবে, তখন বিল্ডিং ভাইঙ্গা ফালামু।
এই বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, যেহেতু আমাদের কাছে বিষয়টা আপনার মাধ্যমে প্রথম উপস্থাপিত হয়েছে, আমরা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যদি চলাচলের কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আমাদের এটা বিহিত করার সুযোগ আছে।