জামালপুরের বকশীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ওয়ানগালা মহোৎসব। শস্য দেবতাকে ফসলের কিছু অংশ তুলে দিতেই এই আয়োজন। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত উৎসবের আমেজ থাকে পাহাড়ি এই সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে পাহাড়ি নয় এই উৎসবে অংশ নেয় বাঙালীরাও।
গারোদের বিশ্বাস শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ এর ওপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন হয়। এই শস্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও নতুন ফসল আহারের অনুমতি নিতে বকশীগঞ্জে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের দিঘলাকোনা এলাকায় ওয়ান গালা উৎসব পালন করেছে গারো সম্প্রদায়ের পাহাড়িরা।
ওয়ান গালার শুরুতে থক্কা অনুষ্ঠান, শস্য দেবতার উদ্দেশ্যে ফসল উৎসর্গ, প্রবেশগীতি, প্রার্থনা, বাণীপাঠ, উপদেশ ও অর্পনগীতিসহ নানা আয়োজন করে দিঘলাকোনার সাধু আন্দ্রে ধর্মপল্লী। যেখানে অংশ নেয় গারো সম্প্রদায়ের পাঁচ শতাধিকের বেশি বাসিন্দা। উৎসবটিকে ঘিরে আনন্দের মেলায় পরিনত হয় পুরো ধর্মপল্লী।
ওয়ান গালা উৎসব ঘিরে ধর্মপল্লীতে দিন ব্যাপী বসেছে গ্রামীণ মেলা। মেলায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে। শুধু গারো সম্প্রদায় নয়। ওয়ানগালার অনুষ্ঠানে অংশ নেন সাধারণ বাঙ্গালীরাও সব পরিবারের ভালবাসা, আনন্দ এবং দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল কামনা করা হয় ওয়ান গালার প্রার্থনায়।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পর ধর্মপল্লী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক উৎসব সেখানে পরিবেশন করা হয় গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য।