ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা মিঠাপুকুরে জোরপূর্বক কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন: জনমনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা শ্রীমঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক- ৬ যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার ওজন নিয়ে সমালোচনার জবাবে সোজাসাপটা জবাব দিলেন সামান্থা সংসার করতে চান বাঁধন, একান্ত সঙ্গীর খোঁজে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন বাইডেন ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব সিদ্দিকী গ্রেপ্তার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

শেখ হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জনতার আদালতে বিচার দাবি করেছেন।

সমাবেশে মামুনুল হক শেখ হাসিনাকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক হাজার হত্যা মামলা হওয়া উচিত। সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া প্রয়োজন।”

মামুনুল হক বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে জনতাকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা মামলা’ করতে হবে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন বা জনগণের জন্য কাজ করেননি; বরং তিনি অন্য একটি দেশের স্বার্থে কাজ করেছেন এবং দেশ থেকে পালিয়ে গেলে তাকে ধরে এনে জনতার আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত।

গণসমাবেশে মামুনুল হক আরও বলেন, “বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করার দাবি জানাই। পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করার ওপরও জোর দেন তিনি।”

সমাবেশে চাঁদপুর জেলা শাখার খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হুসাইন সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী এবং মাওলানা আবু সাঈদ নোমান।

মামুনুল হক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ উঠে আসায় সমাবেশটি চাঁদপুরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের বক্তব্য সরকারের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা

শেখ হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে: মামুনুল হক

আপডেট সময় ০৯:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জনতার আদালতে বিচার দাবি করেছেন।

সমাবেশে মামুনুল হক শেখ হাসিনাকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক হাজার হত্যা মামলা হওয়া উচিত। সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া প্রয়োজন।”

মামুনুল হক বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে জনতাকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা মামলা’ করতে হবে। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন বা জনগণের জন্য কাজ করেননি; বরং তিনি অন্য একটি দেশের স্বার্থে কাজ করেছেন এবং দেশ থেকে পালিয়ে গেলে তাকে ধরে এনে জনতার আদালতে বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত।

গণসমাবেশে মামুনুল হক আরও বলেন, “বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করার দাবি জানাই। পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করার ওপরও জোর দেন তিনি।”

সমাবেশে চাঁদপুর জেলা শাখার খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হুসাইন সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী এবং মাওলানা আবু সাঈদ নোমান।

মামুনুল হক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ উঠে আসায় সমাবেশটি চাঁদপুরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের বক্তব্য সরকারের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।