ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো রাস্তার পাশে পড়েছিল শিশুর মাথা থেঁতলানো লাশ নিখোঁজের একদিন পর রেললাইনের পাশ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা মির্জাপুর জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত, স্ত্রী ও ছেলে আহত জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৬:০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ৫৫২ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদে থাকা বা না-থাকার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবং সমঝোতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, বুধবার বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জানান, দলটি এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না। বিএনপির মতে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা সৃষ্টি হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে।

সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তিনি পাননি। এই মন্তব্যের পর বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রপতির মন্তব্যটি মিথ্যাচার এবং শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।”

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে রাষ্ট্রপতির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এক ইউএনও জমি দিলো, আরেক ইউএনও কেড়ে নিলো

Verified by MonsterInsights

রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের

আপডেট সময় ০৬:০৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদে থাকা বা না-থাকার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবং সমঝোতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, বুধবার বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে জানান, দলটি এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না। বিএনপির মতে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা সৃষ্টি হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে।

সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তিনি পাননি। এই মন্তব্যের পর বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রপতির মন্তব্যটি মিথ্যাচার এবং শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি নিজেই বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।”

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে রাষ্ট্রপতির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।