পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় দানা আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে এই ঝড়। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে ওড়িশা সরকার।
ঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ওড়িশার ভিতরকনিকা ন্যাশনাল পার্ক এবং ধামরা বন্দরের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)।
আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং ২ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওড়িশার ১৪টি জেলার ৩ হাজারেরও বেশি গ্রাম ও এলাকা ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
ওড়িশার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এর মধ্যে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হবে।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে, তবে ঝড়ের প্রধান ধাক্কা সেভাবে বাংলাদেশে লাগবে না। তবুও, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে।