বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ ৯১ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নির্মাণশ্রমিক জাবেদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আদালতের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
এর আগে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহার আদালতে মামলাটি করেন বগুড়া শহরের চক লোকমান এলাকার বাসিন্দা চান মিয়া।
আদালত মামলার অভিযোগ তদন্ত করে সদর থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহত জাবেদ পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ার কলোনি এলাকায় জামিল মাদরাসা ফটকের সামনে গুলিতে নিহত হন জাবেদ।
হাসপাতালের মর্গে এক সপ্তাহ পড়ে থাকার পর বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করা হয়।
মামলায় আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সাবেক এমপি মোস্তফা আলম নান্নু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে এম আসাদুর রহমান দুলু, কোষাধ্যক্ষ ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান মিলন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি প্রমুখ। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরো ১২০ জনকে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের প্রধান সড়কের পুলিশ লাইন্স থেকে সাত মাথা অভিমুখে ছাত্র-জনতার মিছিল নিয়ে যায়।
মিছিলটি জামিল মাদরাসার ফটকে পৌঁছালে আসামি এস এম কামাল ও তিন এমপির নির্দেশে অন্য আসামিরা পিস্তল, কাটা রাইফেলসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালান। মিছিলে অংশ নেওয়া নির্মাণ শ্রমিক জাবেদ আলীকে লক্ষ্য করে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত জাবেদ মিয়ার লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। পরে তা বেওয়ারিশ হিসেবে ভাই পাগলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।