ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

দাকোপে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে চলছে প্রতিযোগিতা

  • দাকোপ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৭:১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৬৯ বার পড়া হয়েছে

দাকোপে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন

খুলনার দাকোপে আত্মঘাতি স্যালো বা ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে চলছে প্রতিযোগিতা। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বহাল তবিয়তে বিভিন্ন নদী ও খাল থেকে মাটি বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

পাশাপাশি আবার চলছে কৃষি জমি ভরাট করে জমজমাট পোলাটিং ব্যবসা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন যাবৎ দেদারচ্ছে এ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে ঘুরে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় সরকারিভাবে কোন বালু মহল নেই। তারপরও থেমে নেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। স্থানীয় কাজীবাছা, পশুর, চুনকুড়ি, ভদ্রা, সুতারখালী, ঢাকী ও শিবসা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত এ মাটি ও বালু উত্তোলন করছে।

এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ভিতরে বিভিন্ন খাল থেকে আত্মঘাতি স্যালো মেশিন দিয়েও। ফলে কৃষি জমির পরিমাণও দিনদিন কমে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। অধিক লাভের আশায় সদ্য গজিয়ে ওঠা কয়েকজন তথাকথিত নেতা বালু উত্তোলন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শুরু করেছে রমরমা ব্যবসা।

প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে ধানের জমি ভরাট, সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনার কাজে প্রতি ফুট দুই থেকে আট টাকা দরে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ব্যবসায়ীরা। কোনো কোনো স্থানে আবার রাস্তার উপর ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে পাইপ বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নসহ দূর্ঘটনাও ঘটছে। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ছিদ্র করেও পাইপ ঢুকিয়ে ইচ্ছেমতো এ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে কথিত ঠিকাদার ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা ওই নিম্নমানের মাটি বালু দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনার কাজ। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা সদর চালনা, বাজুয়া, কৈলাশগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বালু উত্তোলন চলছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদর সমিতি (বেলা) খুলনা বিভাগীয় নেটওয়ার্ক কমিটি ও জাতীয় কৃষক সমিতির খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রাক্তন অধ্যাপক গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় জানান, ‘সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা ছোট এই উপজেলা ৩টি দ্বীপের সমন্বয় গঠিত এবং এক প্রকার দ্বীপগুলো বালুর উপর ভেসে আছে। তারপর আবার প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘর, ফসলী জমিসহ বেড়িবাঁধ বিলিন হচ্ছে। এছাড়া গ্রামিন কার্পেটিং রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনারও ক্ষতি হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্যও মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়ছে। এভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসলে অচিরেই এই উপজেলার চরম বিপর্যায়ে ঘটতে পারে।’

এমনকি মাটির নিচের স্তর ফাঁকা হয়ে সামান্য ভূমিকম্পেও প্রাণের এই জনপদ ধ্বংস হতে পারে বলে আশংঙ্কা করছেন তিনি। অতি দ্রুত এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে বালু উত্তোলন বন্দ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমত হোসেন বলেন, কোথায় কোথায় বালি উত্তোলন হচ্ছে এগুলো খোঁজ খবর নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

দাকোপে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে চলছে প্রতিযোগিতা

আপডেট সময় ০৭:১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খুলনার দাকোপে আত্মঘাতি স্যালো বা ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে চলছে প্রতিযোগিতা। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বহাল তবিয়তে বিভিন্ন নদী ও খাল থেকে মাটি বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

পাশাপাশি আবার চলছে কৃষি জমি ভরাট করে জমজমাট পোলাটিং ব্যবসা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন যাবৎ দেদারচ্ছে এ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে ঘুরে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় সরকারিভাবে কোন বালু মহল নেই। তারপরও থেমে নেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। স্থানীয় কাজীবাছা, পশুর, চুনকুড়ি, ভদ্রা, সুতারখালী, ঢাকী ও শিবসা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত এ মাটি ও বালু উত্তোলন করছে।

এ ছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ভিতরে বিভিন্ন খাল থেকে আত্মঘাতি স্যালো মেশিন দিয়েও। ফলে কৃষি জমির পরিমাণও দিনদিন কমে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। অধিক লাভের আশায় সদ্য গজিয়ে ওঠা কয়েকজন তথাকথিত নেতা বালু উত্তোলন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শুরু করেছে রমরমা ব্যবসা।

প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে ধানের জমি ভরাট, সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনার কাজে প্রতি ফুট দুই থেকে আট টাকা দরে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ব্যবসায়ীরা। কোনো কোনো স্থানে আবার রাস্তার উপর ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে পাইপ বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নসহ দূর্ঘটনাও ঘটছে। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ছিদ্র করেও পাইপ ঢুকিয়ে ইচ্ছেমতো এ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে কথিত ঠিকাদার ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা ওই নিম্নমানের মাটি বালু দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনার কাজ। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা সদর চালনা, বাজুয়া, কৈলাশগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বালু উত্তোলন চলছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদর সমিতি (বেলা) খুলনা বিভাগীয় নেটওয়ার্ক কমিটি ও জাতীয় কৃষক সমিতির খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রাক্তন অধ্যাপক গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় জানান, ‘সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা ছোট এই উপজেলা ৩টি দ্বীপের সমন্বয় গঠিত এবং এক প্রকার দ্বীপগুলো বালুর উপর ভেসে আছে। তারপর আবার প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘর, ফসলী জমিসহ বেড়িবাঁধ বিলিন হচ্ছে। এছাড়া গ্রামিন কার্পেটিং রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনারও ক্ষতি হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্যও মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়ছে। এভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসলে অচিরেই এই উপজেলার চরম বিপর্যায়ে ঘটতে পারে।’

এমনকি মাটির নিচের স্তর ফাঁকা হয়ে সামান্য ভূমিকম্পেও প্রাণের এই জনপদ ধ্বংস হতে পারে বলে আশংঙ্কা করছেন তিনি। অতি দ্রুত এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে বালু উত্তোলন বন্দ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমত হোসেন বলেন, কোথায় কোথায় বালি উত্তোলন হচ্ছে এগুলো খোঁজ খবর নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।