রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে চলমান বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে দুই দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন। তারা আশ্বাস দেন, রাষ্ট্রপতিকে দুই দিনের মধ্যে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবনের সামনে চলমান বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
তারা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ষড়যন্ত্রকারী এবং তাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। তবে আগামী দুই দিনের মধ্যে এমন একজন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করা হবে যাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকবে না। এরপর সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।” তারা বিক্ষোভকারীদের ধৈর্য ধরতে এবং দুই দিন সময় দিতে বলেন।
রাত সোয়া ১২টার দিকে দেখা যায়, হাসনাত ও সারজিসের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীদের একাংশ ফিরে গেলেও অনেকেই বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।
এর আগে, সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে, যা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজন আহত হন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানান, বঙ্গভবন এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে মোতায়েন রয়েছেন যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তার কাছে পদত্যাগপত্রের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এই মন্তব্যের পর রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।