কর ফাঁকি দেওয়া কাউকেই ছাড়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘ব্যক্তি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা রয়েছে। তবে এখন থেকে কর ফাঁকি দিয়ে কেউই রেহাই পাবে না।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে ই-রিটার্ন সার্ভিস সেন্টার চালুর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘করদাতারা যেন দ্রুত ও মানসম্মতভাবে সেবা পেতে পারেন সেজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সমস্ত লেনদেন ডিজিটাল ফর্মে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কো-অপারেশন হেড মিশেল ক্রেজা। এরপর সার্ভিস সেন্টার ঘুরে দেখেন তারা।
এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ওয়েবসাইট বড় আকারে চালু করে এনবিআর। যেখানে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিনে অনলাইন রিটার্ন দাখিল করেছেন ২০ হাজারের বেশি আয়করদাতা।
এনবিআর আরও জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেম আপগ্রেডেশন ব্যবহার করে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতারা নিজে রিটার্ন তৈরি, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অথবা অফলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রিন্ট গ্রহণ, অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) মাধ্যমে কর পরিশোধ, রিটার্ন দাখিলের তাৎক্ষণিক প্রমাণ প্রাপ্তি, আয়কর পরিশোধ সনদ ও টিআইএন সনদপ্রাপ্ত, পূর্ববর্তী কর বছরের দাখিল করা ই-রিটার্নের কপি, রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রিন্ট বা ডাউনলোডের সুবিধা পাবেন।
এদিকে এ সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে টিআইএন ও করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২১ সালে ই-সিস্টেম চালু করার পর ২০২১-২০২২ কর বছরে ৬১ হাজার ৪৯১ জন, ২০২২-২০২৩ কর বছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ জন ও ২০২৩-২০২৪ কর বছরে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন।