বাংলাদেশ পুলিশ থেকে ৪ ডিআইজিকে (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো চার ডিআইজি হলেন- এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ-পুলিশের ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া ও এনডিসি আমেনা বেগম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে এই চারজনকে অবসর প্রদান করা হয়েছে। তারা অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন, যা সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা তিন সচিব ও ২১ অতিরিক্ত সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তিন সচিব হলেন- শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি ও অতিরঞ্জিত কর্মকাণ্ড।
এছাড়া, গত নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত সচিবদের একটি বড় অংশকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের তালিকা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দেওয়া হয়েছে। চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম থাকা কর্মকর্তারা ওএসডি (অফিস অব স্টেট ডিউটি) হবেন এবং ২৫ বছরের বেশি চাকরি করা কর্মকর্তারা বাধ্যতামূলক অবসরে যাবেন।