ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানের অনুসারীদের নেতৃত্বে ছিল সাংকেতিক নাম

পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত মানবাধিকার কমিশনকে দেওয়ার সুপারিশ

পুলিশ সংস্কার কমিশন

পুলিশ সংস্কার কমিশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর সরাসরি সব পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে।

কমিশনের মতে, যদি কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা তাদের প্ররোচনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানই এই অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবেন। এর পাশাপাশি, কমিশন প্রস্তাব করেছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে একটি মানবাধিকার সেল গঠন করা হবে।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কমিশন প্রধান সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয় এবং কমিশনের ওয়েবসাইটেও এটি প্রকাশিত হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ বাহিনীকে আরও দক্ষ, জনবান্ধব ও আধুনিক করার উদ্দেশ্যে একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া, কমিশন জানিয়েছে যে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার পর পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীকে আরও আধুনিক, জনমুখী ও কার্যকর করে তোলার উদ্দেশ্যে কমিশন এ প্রতিবেদন প্রদান করেছে।

কমিশনের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে:

  • গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন।
  • অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দায়ের বন্ধ করা এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী হিসেবে মিডিয়াতে উপস্থাপন না করার সুপারিশ।
  • র্যাবের অতীত কার্যক্রম পর্যালোচনা করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পুনর্মূল্যায়ন করা এবং প্রয়োজনে র্যাবের কার্যক্রম পুনর্নির্ধারণ করা।
  • জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগে দোষী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত মানবাধিকার কমিশনকে দেওয়ার সুপারিশ

আপডেট সময় ০৫:৪৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পুলিশ সংস্কার কমিশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর সরাসরি সব পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে।

কমিশনের মতে, যদি কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা তাদের প্ররোচনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানই এই অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবেন। এর পাশাপাশি, কমিশন প্রস্তাব করেছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে একটি মানবাধিকার সেল গঠন করা হবে।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। কমিশন প্রধান সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয় এবং কমিশনের ওয়েবসাইটেও এটি প্রকাশিত হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ বাহিনীকে আরও দক্ষ, জনবান্ধব ও আধুনিক করার উদ্দেশ্যে একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া, কমিশন জানিয়েছে যে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার পর পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীকে আরও আধুনিক, জনমুখী ও কার্যকর করে তোলার উদ্দেশ্যে কমিশন এ প্রতিবেদন প্রদান করেছে।

কমিশনের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে:

  • গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন।
  • অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দায়ের বন্ধ করা এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী হিসেবে মিডিয়াতে উপস্থাপন না করার সুপারিশ।
  • র্যাবের অতীত কার্যক্রম পর্যালোচনা করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পুনর্মূল্যায়ন করা এবং প্রয়োজনে র্যাবের কার্যক্রম পুনর্নির্ধারণ করা।
  • জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে হত্যার অভিযোগে দোষী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ।