বগুড়া শহরে ১০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়ের মা শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবাকে আসামি করে থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ বাবা মো. আশরাফুল আলম (৪০)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ছাট মল্লিকবেগ এলাকার মো. আবুল কাসেমের ছেলে।
বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ সূত্রে ও মেয়ের মা জানান, গত এক বছর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি ওই নারীর সাথে আশরাফুল আলমের বিয়ে হয়। আশরাফুল আলম বগুড়া শহরে ফুডকার্টে খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। পরে ব্যবসায় লোকসান হলে তিনি প্রায় ৬/৭ মাস বসেছিল। এরপর তিনি বাসায় দেহ ব্যবসা শুরু করেন। ঘরে পুরুষ ও নারী ঢুকিয়ে দিয়ে গোপনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ক্যামেরায় ধারণ করতো এবং তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতেন। এদিকে আশরাফুল তার সৎ মেয়েকে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার প্রস্তাব দেয় তার স্ত্রীকে। এতে তিনি রাজি হয় না। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আবারও একই প্রস্তাব দেয় আশরাফুল তার স্ত্রীকে। এ সময় প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে স্বামী আশরাফুল তাকে মারপিট করে। তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শরীরে আঘাত পাওয়ায় বাহিরে ওষুধ আনতে গেলে ঘরে সৎ মেয়েকে একা পেয়ে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে আশরাফুল। এ সময় ঘরে উপস্থিত হয়ে মেয়ের চিৎকার শুনে আশরাফুলকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
মেয়ের মা বলেন, আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্তা। আমার মেয়েকে কু-কাজে না দেওয়ায় আশরাফুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পূর্বেও সে এমন প্রস্তাব দিয়েছে। আমি তার শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন জানান, থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আশরাফুল যেখানে যায় সেখানেই বিয়ে করে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।