ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি, শ্রীমঙ্গলে থানার অফিসার ইনচার্জকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পূর্ব শক্রতার জেরে সৎ ভাই, বোন এবং ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক হামলায় নিহত মো. হাসান মিয়া (২০) ও তার মা মায়া বেগম (৬০) হত্যা ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক।

আদালতের গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রেরিত আদেশের প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন না পাঠানোয় গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আদালত এ আদেশ প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে হাসান মিয়ার উপর প্রকাশ্যে আক্রমণ চালানো হয়, ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনার ১৫ দিন পর সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মারা যান। অপরদিকে, একই বছরের ১৫ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলের আকবর আলীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগমের সন্তান আছিদ আলী, পারভীন বেগম, উমর আলীসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মায়া বেগম ও তার ছেলে জাফর আলীকে মারধর করে। গুরুতর আহত মায়া বেগমকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ও পরে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়, কিন্তু ১১ জানুয়ারি তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সিএনজি চালক মো. জাফর আলী জানান, মামলার আসামীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে এবং তাদের অব্যাহত ভয়ভীতি-হুমকির কারণে তিনি পরিবারসহ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এদিকে, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “মামলা ও ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। খবর নিয়ে জানতে হবে”। দীর্ঘ সময় ধরে আদালতের নির্দেশনা পালিত না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ওসি এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি, শ্রীমঙ্গলে থানার অফিসার ইনচার্জকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পূর্ব শক্রতার জেরে সৎ ভাই, বোন এবং ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক হামলায় নিহত মো. হাসান মিয়া (২০) ও তার মা মায়া বেগম (৬০) হত্যা ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক।

আদালতের গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রেরিত আদেশের প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন না পাঠানোয় গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আদালত এ আদেশ প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে হাসান মিয়ার উপর প্রকাশ্যে আক্রমণ চালানো হয়, ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনার ১৫ দিন পর সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মারা যান। অপরদিকে, একই বছরের ১৫ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলের আকবর আলীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগমের সন্তান আছিদ আলী, পারভীন বেগম, উমর আলীসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মায়া বেগম ও তার ছেলে জাফর আলীকে মারধর করে। গুরুতর আহত মায়া বেগমকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ও পরে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়, কিন্তু ১১ জানুয়ারি তিনিও মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সিএনজি চালক মো. জাফর আলী জানান, মামলার আসামীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে এবং তাদের অব্যাহত ভয়ভীতি-হুমকির কারণে তিনি পরিবারসহ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এদিকে, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “মামলা ও ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। খবর নিয়ে জানতে হবে”। দীর্ঘ সময় ধরে আদালতের নির্দেশনা পালিত না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ওসি এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি।