মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে পেন্টাগনে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন প্রায় পাঁচ হাজার ৪০০ বেসামরিক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পেন্টাগন শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের বেসামরিক কর্মীদের পাঁচ থেকে আট শতাংশ ছাঁটাই করবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ৫৪০০ কর্মী চাকরিচ্যুত হবেন এবং এটি আগামী সপ্তাহে কার্যকর হবে।
ডিফেন্স পার্সোনেল অ্যান্ড রেডিনেসের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার-সেক্রেটারি ড্যারিন সেলনিক জানান, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্য হলো পেন্টাগনের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস করা। তিনি বলেন, “যেসব কর্মীর অবদান মিশনের জন্য অত্যাবশ্যক নয়, তাদের রাখা জনস্বার্থে নয়। আমাদের করদাতাদের জন্য কর্মীবাহিনী সম্পূর্ণভাবে পর্যালোচনা করা এবং যেখানে অতিরিক্ততা রয়েছে, সেগুলো বাদ দেওয়া উচিত।”
এছাড়া, পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ছাঁটাইয়ের পর, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণের জন্য একটি নিয়োগ স্থগিতাদেশ জারি করা হবে।
ট্রাম্পের অন্যতম সহযোগী, ইলন মাস্কের পরিচালিত ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজে) এর উদ্যোগে কর্মীদের পেন্টাগন পরিদর্শনের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ছাঁটাইয়ে ইউনিফর্মধারী সামরিক কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত নন।
এদিকে, শুক্রবার এক ঘোষণায়, ট্রাম্প মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, বিমানবাহিনীর জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন। তার সঙ্গে আরও পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ পরিবর্তনকে অনেকেই পেন্টাগনের বেসামরিক কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাই, প্রতিরক্ষা বাজেটে নাটকীয় পরিবর্তন এবং সেনা অবস্থান বদলের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সামরিক বাহিনীতে একটি নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে এই পরিবর্তন কিছুটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।