চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (WIV) থেকে নতুন এক করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে “এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু”। এই ভাইরাসটি বাদুড়ের দেহে শনাক্ত হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত মানুষের মধ্যে এটি ছড়ানো বা সংক্রমিত হওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এটি ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, নতুন ভাইরাসটি মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে, যা ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। মার্স ভাইরাসে তখন ২ হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩৬ শতাংশ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাইরাসটি মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে ও এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।
তবে বিজ্ঞানীরা জানান, এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু ভাইরাসের মহামারি আকার ধারণ করার ঝুঁকি এখন পর্যন্ত খুব বেশি নয়। তবে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, বিশেষ করে এটি মানুষের মধ্যে ছড়ানোর সম্ভাবনা ও এর প্রভাব পর্যালোচনা করতে।
উল্লেখ্য, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সাথে কভিড-১৯ ভাইরাসের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিতর্ক চলেছে। ২০২৩ সালে আমেরিকা উহান ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সহায়তা বন্ধ করে দেয়, যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি বর্তমানে খুবই সীমিত এবং আরও গবেষণা প্রয়োজন। ২০১৯ সালে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে এই ভাইরাসের প্রকৃতি এবং এর ছড়ানোর গতি নিয়ে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া প্রয়োজন।