ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানের অনুসারীদের নেতৃত্বে ছিল সাংকেতিক নাম

চীনে নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান, মানুষের মধ্যে ছড়ানোর আশঙ্কা

বাদুড়ের দেহে নতুন করোনাভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন উহানের বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীত

চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (WIV) থেকে নতুন এক করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে “এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু”। এই ভাইরাসটি বাদুড়ের দেহে শনাক্ত হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত মানুষের মধ্যে এটি ছড়ানো বা সংক্রমিত হওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এটি ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, নতুন ভাইরাসটি মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে, যা ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। মার্স ভাইরাসে তখন ২ হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩৬ শতাংশ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাইরাসটি মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে ও এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।

তবে বিজ্ঞানীরা জানান, এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু ভাইরাসের মহামারি আকার ধারণ করার ঝুঁকি এখন পর্যন্ত খুব বেশি নয়। তবে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, বিশেষ করে এটি মানুষের মধ্যে ছড়ানোর সম্ভাবনা ও এর প্রভাব পর্যালোচনা করতে।

উল্লেখ্য, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সাথে কভিড-১৯ ভাইরাসের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিতর্ক চলেছে। ২০২৩ সালে আমেরিকা উহান ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সহায়তা বন্ধ করে দেয়, যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি বর্তমানে খুবই সীমিত এবং আরও গবেষণা প্রয়োজন। ২০১৯ সালে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে এই ভাইরাসের প্রকৃতি এবং এর ছড়ানোর গতি নিয়ে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া প্রয়োজন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

চীনে নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান, মানুষের মধ্যে ছড়ানোর আশঙ্কা

আপডেট সময় ০৭:১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (WIV) থেকে নতুন এক করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে “এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু”। এই ভাইরাসটি বাদুড়ের দেহে শনাক্ত হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত মানুষের মধ্যে এটি ছড়ানো বা সংক্রমিত হওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এটি ভবিষ্যতে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, নতুন ভাইরাসটি মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে, যা ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। মার্স ভাইরাসে তখন ২ হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩৬ শতাংশ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাইরাসটি মানুষের দেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে ও এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।

তবে বিজ্ঞানীরা জানান, এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু ভাইরাসের মহামারি আকার ধারণ করার ঝুঁকি এখন পর্যন্ত খুব বেশি নয়। তবে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে, বিশেষ করে এটি মানুষের মধ্যে ছড়ানোর সম্ভাবনা ও এর প্রভাব পর্যালোচনা করতে।

উল্লেখ্য, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সাথে কভিড-১৯ ভাইরাসের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিতর্ক চলেছে। ২০২৩ সালে আমেরিকা উহান ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সহায়তা বন্ধ করে দেয়, যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি বর্তমানে খুবই সীমিত এবং আরও গবেষণা প্রয়োজন। ২০১৯ সালে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে এই ভাইরাসের প্রকৃতি এবং এর ছড়ানোর গতি নিয়ে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া প্রয়োজন।