সুনামগঞ্জে গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে ছাত্রজনতার উপর গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায়। এতে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার জহুর আলী নামে এক পথচারীকে আন্দোলনকারীদের একজন ভেবে এক নিরীহ যুবকের উপর গুলি চালালে সে গুলিবিদ্ধ হয়।
এই ঘটনায় আহতের বড়ভাইয়ের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিককে আদালতে হাজির করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার ১০দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। অপরদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবিরা মহিবুর রহমান মানিকের জাতিন প্রার্থনা করলে দ্রুত বিচার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নির্জন কুমার মিত্রের আদালত জামিন না মজ্ঞুর করে তার দু”দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে তাকে জেলা কারাগার থেকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এতদিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তার দু”দিনের রিমান্ড মজ্ঞুর করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকা থেকে র্যাবের একটি দল গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আহত জহুর আলীর বড়ভাই জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়খাই গ্রামের নাজির আহমদ এর ছেলে মোঃ হাফিজ আহমদ নিজে বাদি হয়ে গত ২রা সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং সাবেক এমপি মহিবুর রহমান মানিককে ৩নং আসামী করে ৯৯জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে আইন-শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালত সুনামগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আসামীকে আইন শৃংখলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।