ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
নতুন ভাইরাস ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’র লক্ষণ ও প্রতিকার ঝুপড়ি ঘরে অনাহারে দিন কাটছে প্রতিবন্ধী ইছামতীর এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুকী বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ে চলছে ‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি: শীতের প্রকোপ কমে, বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: ডা. শফিকুর রহমান যশোরে আলাদা দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ আহত ১৫ নাগরপুরে ভবন নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব ইসমাইল হোসেন গ্রেফতার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য শেহজাদের অদ্ভুত প্রস্তাব বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ফের বসবে সমমনা দলগুলো কাজের প্রতি সৎ থাকার দাবী করলেন তানজিন তিশা নরসিংদীতে পাওয়ারলুম মালিককে পিটিয়ে হত্যা, আটক-৪ বেইলি ব্রিজ সংস্করণের অভাবে দূর্ঘটনা ও অপমৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্টদের কিয়েভে ৬টি বিদেশি দূতাবাসে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

চট্টগ্রামে সাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি করিম গ্রেফতার

চট্টগ্রামে সাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি করিম গ্রেফতার

চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ করিমকে বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

নিহত মোঃ সাকিব (১৮) চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার এলাকার ফিরোজা বেগমের ছেলে। ভিকটিমের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী মোঃ করিম এবং তার পরিবারের সাথে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল।

উক্ত শত্রুতার জের ধরে গত ০৫ আগস্ট আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে সাকিবকে কৌশলে বাসা থেকে ডেকে আসামি মোঃ করিম পার্শ্ববর্তী আমিনের দোকানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকেই ওৎ পেতে থাকা করিমের সহযোগী আনুমানিক ২০ জন ভিকটিমের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র এবং লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে ভিকটিমের মা সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তাদের চিৎকারে ভিকটিমের আরেক বোন এবং স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে গুরুতর অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসারত অবস্থায় গত ০৬ আগস্ট আনুমানিক ০৫.৪০ মিনিটে ভিকটিম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।

উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় ১৫ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১২/২৩৩, তারিখ- ২১ আগস্ট ২০২৪ ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩০২/৫০৬/৩৪, দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র‌্যাব গোপন সূত্রে জানতে পারে, বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি মোঃ করিম চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় অবস্থান করছে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ০৭.১০ মিনিটে বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ করিম (৩৫), পিতা- মৃত আবদুস শুক্কুর, সাং- কালামিয়া বাজার, থানা- বাকলিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি হওয়ার কথা এবং উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন ভাইরাস ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’র লক্ষণ ও প্রতিকার

ঝুপড়ি ঘরে অনাহারে দিন কাটছে প্রতিবন্ধী ইছামতীর

এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুকী

বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ে চলছে ‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি: শীতের প্রকোপ কমে, বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতে তুলে দেবো: ডা. শফিকুর রহমান

চট্টগ্রামে সাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি করিম গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৪:১৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোঃ করিমকে বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

নিহত মোঃ সাকিব (১৮) চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার এলাকার ফিরোজা বেগমের ছেলে। ভিকটিমের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী মোঃ করিম এবং তার পরিবারের সাথে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল।

উক্ত শত্রুতার জের ধরে গত ০৫ আগস্ট আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে সাকিবকে কৌশলে বাসা থেকে ডেকে আসামি মোঃ করিম পার্শ্ববর্তী আমিনের দোকানের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকেই ওৎ পেতে থাকা করিমের সহযোগী আনুমানিক ২০ জন ভিকটিমের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র এবং লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে ভিকটিমের মা সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় তাদের চিৎকারে ভিকটিমের আরেক বোন এবং স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে গুরুতর অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসারত অবস্থায় গত ০৬ আগস্ট আনুমানিক ০৫.৪০ মিনিটে ভিকটিম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।

উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় ১৫ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১২/২৩৩, তারিখ- ২১ আগস্ট ২০২৪ ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩০২/৫০৬/৩৪, দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র‌্যাব গোপন সূত্রে জানতে পারে, বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি মোঃ করিম চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় অবস্থান করছে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ০৭.১০ মিনিটে বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ করিম (৩৫), পিতা- মৃত আবদুস শুক্কুর, সাং- কালামিয়া বাজার, থানা- বাকলিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি হওয়ার কথা এবং উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।