বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে একুশের চেতনার প্রভাব ও ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও একুশের চেতনা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিকে এ দেশের জনগণ একদিকে যেমন দুঃখের দিন হিসেবে মনে করে, অন্যদিকে প্রেরণা ও গৌরবের দিন হিসেবেও মনে করে। কারণ একুশের আন্দোলনের পথ ধরেই ছাত্র আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
তিনি আরো বলেন, “এই পথ ধরেই নব্বইয়ের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে।” একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জনগণের আন্দোলন শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এবং সে কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছিল।
সংবাদপত্রের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনো পালায় না। তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এত উৎপীড়ন-অত্যাচার, বন্দিত্বের পরও তিনি তার জনগণ ও দেশের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার থেকে পিছপা হননি।”
তিনি বিএনপির কর্মীদের ওপর চলমান গুম ও ক্রসফায়ারের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, “আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে, এবং তাদের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে।” রিজভী বলেন, ওই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এ সময় নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।”