ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ মো. ফজলুর রহমানকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মৌলভীবাজারের বড়লেখা ভূমি অফিসে জালিয়াতির অপরাধে রিমান্ডে ৪ আসামি সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন ও ২ টি চুনা কারখানা গুড়িয়ে দেন তিতাস কর্তৃপক্ষ ফুলবাড়িয়ায় টিসিবির ডিলার ২৮৩ কার্ডের পণ্য বিক্রি করে দিয়েছে ভুল সন্দেহে নির্মমতা: বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারধর প্রতিবন্ধী যুবককে নবীগঞ্জে পূজামণ্ডপে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা : আহত ৩, গ্রেফতার ২ ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ারের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনেরা সাভার সরকারি কলেজের মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় (ইমু ইমরান) সভাপতি পদ পেয়েছেন প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে নবীনগরে ৮ কোটি টাকার পানি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ৪ হাজার ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেফতার পাবনায় চরমপন্থি নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

বিচারপতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে উচ্চ আদালত: আসিফ নজরুল

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা এখন থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকার মাধ্যমে উচ্চ আদালত এখন অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল বলেন, “হাইকোর্টে কিছু বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যারা জুলাই বিপ্লবের নিপীড়ক ছিলেন এবং অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এ বিষয়ে অভিযোগ পেলেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।”

এর আগে, এদিন সকালে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেন, যা বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী প্রণয়ন করে এই ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, যা পরে আদালত অবৈধ ঘোষণা করেন।

আইন উপদেষ্টা জানান, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বিচার বিভাগের জবাবদিহিতার ফোরাম পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, যা বিচারকদের নিয়ে জমে থাকা ক্ষোভ নিরসনের সুযোগ তৈরি করবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল, যা ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। তবে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে তা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে এনেছিল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ মো. ফজলুর রহমানকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

Verified by MonsterInsights

বিচারপতিদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে উচ্চ আদালত: আসিফ নজরুল

আপডেট সময় ০৫:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা এখন থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকার মাধ্যমে উচ্চ আদালত এখন অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল বলেন, “হাইকোর্টে কিছু বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যারা জুলাই বিপ্লবের নিপীড়ক ছিলেন এবং অনেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এ বিষয়ে অভিযোগ পেলেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।”

এর আগে, এদিন সকালে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেন, যা বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী প্রণয়ন করে এই ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, যা পরে আদালত অবৈধ ঘোষণা করেন।

আইন উপদেষ্টা জানান, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বিচার বিভাগের জবাবদিহিতার ফোরাম পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, যা বিচারকদের নিয়ে জমে থাকা ক্ষোভ নিরসনের সুযোগ তৈরি করবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল, যা ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। তবে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে তা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে এনেছিল।