কলেজছাত্রীকে বিয়ের নামে প্রতারণা এবং শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে ইউএস বাংলা বিমানের চেকিংম্যান হৃদয়ের বিরুদ্ধে করা মামলা পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া নারাজি আবেদনের উপর শুনানি শেষে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে পুনঃপ্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী গোলাম হেকমত আলম।
আসামি বাঘারপাড়া উপজেলার সাদীপুর গ্রামের দিলিপ কুমার দাসের ছেলে হৃদয় কুমার দাস জয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী যশোর সরকারী এমএম কলেজে লেখাপড়া করেন। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করার পরে শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রস্তাব দেয় আসামি হৃদয় দাস। কিন্তু বিয়ে ছাড়া শারীরিক সম্পর্কে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। ফলে ওই বছরের ১০ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে মেস থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে হৃদয় দাস যশোর শহরের বড় বাজার কালী মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের দেবদেবী সামনে রেখে শপথ ও মালা বদল করে বিয়ে করে। এরপর ওইদিনই যশোর সদরের ভেকুটিয়া কলোনী মোড়ে আলম কাজীর ভাড়া বাড়িতে নিয়ে ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে হৃদয় দাস।
এভাবে দিনের পর দিন বিভিন্ন স্থান ও আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে হৃদয়ের স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। ওই ছাত্রী যখন হৃদয় দাসকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে হৃদয় দাস নানা তালবাহান শুরু করে। চলতি বছরের ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হৃদয় দাসকে ডেকে আনে মেয়েটি। এ সময় তাকে বাড়িতে নিয়ে সংসার করার কথা বললে হৃদয় তাকে বিয়ের কথা অস্বীকার করে চলে যায়। ফলে বিয়ের নামে প্রতারণা ও শারীরিক সম্পর্ক অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন ওই ছাত্রী।
তৎকালীন বিচারক অভিযোগটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে এ ঘটনার প্রমাণ না পাওয়ায় আদালতে আাসমির অব্যহতি চেয়ে প্রতিবেদন জমা দেন। এ প্রতিবেদনের উপর মামলার বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করে ডিবি পুলিশকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী জানিয়েছেন, আসামি হৃদয় দাস ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল। তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্ত রিপোর্ট তাদের পক্ষে নিয়েছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে হৃদয় দাসের বিচার দাবি করেছেন।