বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূূপের (ডিপ) নিযোগপ্রাপ্ত অপারেটররা পাচ্ছেন না ডিপের দায়িত্ব। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরবর্তী জোরপূর্বক অবৈধভাবে যারা গভীর নলকূূপ দখল করে রেখেছে সেই দখলদাররা নিয়োগপ্রাপ্ত গভীর নলকূূপের অপারেটরদের ডিপের দখল ছাড়ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের রিশিকুল-২ গভীর নলকূপের নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটর মো. মিনহাজুল আবেদিন ও শাহাপুর-২ গভীর নলকূপের নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটর মোসা. মালেকা বেগম।
নিয়োগ প্রাপ্ত অপারেটর মো. মিনহাজুল আবেদিন ও মোসা. মালেকা বেগম বলনে, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গত সোমবার, ১৭/২/২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। নিয়োগপত্র পাওয়ার পর গভীর নলকূপের চাবি নিতে গেলে অবৈধভাবে ডিপ দখলদার রিশিকুল ইউনিয়নের বাউপুর গ্রামের মো. নূরুল ও রিশিকুল গ্রামের মো. শওকত আলী চাবি দিচ্ছে না। তারা ডিপ দুইটি জোর করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। আমরা যদি দখল নিতে যাই, তাহলে দখলদারদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ করে ডিপ দখল নিতে হবে। আমরা চাই না সংর্ঘষে জড়াতে।
গভীর নলকূপ দু’টি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব পরবর্তী জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করে রিশিকুল ইউনিয়নের বাউপুর গ্রামের মো. নূরুল (শাহাপুর-২) ও রিশিকুল গ্রামের মো. শওকত আলী (রিশিকুল-২)।
তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তখন এই দখলদার দুইজন অপারেটর হওয়ার জন্য কোনো আবেদন করেনি। পক্ষান্তরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা গভীর নলকূপ দখল করে রেখেছে। মো. শওকত ও মো. নূরুল ব্যারিষ্টার মিলনের সমথর্ক। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে তারা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটর মো. মিনহাজুল আবেদিন ও মোসা. মালেকা বেগম।
নিয়োগপ্রাপ্ত অপারেটরদের দাবি, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যাদের নিয়োগ দিয়েছে তাদের গভীর নলকূপ বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাকনহাট জোনের ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুল আওয়াল বলেন, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।