ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা সুনামগঞ্জের বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা শহরের কাছাকাছি স্থাপনের জন্য ৬দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পাংশায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কাবিখা প্রকল্পে কাগজে কলমে উন্নয়ন, মাঠে দুর্নীতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

গাজাবাসীকে উৎখাতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন মাহমুদ আব্বাস

মাহমুদ আব্বাস

ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের যেকোনো প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত ৩৮তম আফ্রিকান ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এসময়, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এ নিয়ে এর আগে আরব দেশগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কঠোর প্রতিবাদ ছিল না। তবে, আফ্রিকান ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনে এসে এ বিষয়ে আব্বাস তার মতামত জানান।

আব্বাস বলেন, “যারা মনে করে তারা ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে বা নতুন শতাব্দীর চুক্তি চাপিয়ে দিতে পারবে, তারা ভুল করছে।”

তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা, গাজায় যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, বসতি সম্প্রসারণ এবং পশ্চিম তীর দখলের প্রচেষ্টা থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর অপচেষ্টা।

এছাড়া, তিনি জাতিসংঘের রেজল্যুশন ১৯৪ ধারা অনুসারে গাজায় বসবাসকারী ১৫ লাখ শরণার্থীর তাদের মাতৃভূমির শহর ও গ্রামে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করেন। আব্বাসের মতে, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা পৃথিবীর শান্তি ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি বড় আঘাত।

আব্বাস আরও বলেন, ইসরায়েলি ঔপনিবেশিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা এবং চরমপন্থি শক্তির উত্থান রোধ করা যায়।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার

Verified by MonsterInsights

গাজাবাসীকে উৎখাতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন মাহমুদ আব্বাস

আপডেট সময় ০৫:৪০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের যেকোনো প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত ৩৮তম আফ্রিকান ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এসময়, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা করেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এ নিয়ে এর আগে আরব দেশগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কঠোর প্রতিবাদ ছিল না। তবে, আফ্রিকান ইউনিয়ন শীর্ষ সম্মেলনে এসে এ বিষয়ে আব্বাস তার মতামত জানান।

আব্বাস বলেন, “যারা মনে করে তারা ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে বা নতুন শতাব্দীর চুক্তি চাপিয়ে দিতে পারবে, তারা ভুল করছে।”

তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা, গাজায় যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, বসতি সম্প্রসারণ এবং পশ্চিম তীর দখলের প্রচেষ্টা থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর অপচেষ্টা।

এছাড়া, তিনি জাতিসংঘের রেজল্যুশন ১৯৪ ধারা অনুসারে গাজায় বসবাসকারী ১৫ লাখ শরণার্থীর তাদের মাতৃভূমির শহর ও গ্রামে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করেন। আব্বাসের মতে, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা পৃথিবীর শান্তি ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি বড় আঘাত।

আব্বাস আরও বলেন, ইসরায়েলি ঔপনিবেশিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা এবং চরমপন্থি শক্তির উত্থান রোধ করা যায়।