টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অবৈধ সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে ডাকাতির নাটক ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মেয়ের বিরুদ্ধে মা মোছা. কোহিনুর বেগম (৮৫) সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে নাগরপুর প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সে নাগরপুর সদর ইউনিয়নের বাবনাপাড়া গ্রামের মৃত ডা. আবুল কাসেমের স্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ছোট ছেলে মো. এসএম তারেক মাহমুদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নাগরপুর সদরে অবস্থিত গরু হাটের উত্তর পাশে আমার নিজ বাড়ি সংলগ্ন আমার মেজো মেয়ে জাহানারা আক্তার স্বামী মৃত সিরাজুল ইসলাম (ছানু) গ্রাম: পাঁচতারা, ডাকঘর: সলিল আড়রা, থানা নাগরপুর, জেলা: টাঙ্গাইল। বর্তমান ঠিকানা: গ্রাম: বাবনা পাড়া, থানা: নাগরপুর, জেলা টাঙ্গাইল। আনুমানিক গত ২০১৪ সন হতে পৈতিক সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছেন। বসবাস করাকালীন সময়ে আমার বড় ছেলে মরহুম কবির আহাম্মেদের দোকান দখল করে জাহানারা আক্তারের বড় ছেলে সিরাজ আল মাসুদকে ব্যবসায় বসানোর চেষ্টা করলে আমি ও আমার অন্য ছেলেরা মিলে তাকে পারবারিকভাবে বাধা প্রদান করি। পরে জাহানারা আক্তার আমার নিজ নামে পুকুরের চালায় রেকর্ডকৃত জমি আমার নিকট হইতে লিখে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হইয়া জাল কাগজ করে দখলে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।
তিনি জানান, দখল করতে না পেরে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে ক্ষতি সাধনের চেষ্টাসহ পারিবারিক মানহানি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত ২৭-০২-২০২৫ ইং তারিখ সময় আনুমানিক সন্ধা ০৬.১৫ মিনিটের দিকে আমার বড় ছেলের সন্তান এসএম মহিউদ্দিন মাহমুদ (মহন) নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে নাগরপুর গরু হাটের মাঠে ক্রিকেট খেলে তিন-চার জন বন্ধুবান্ধব নিয়ে বসে বিশ্রাম করাকালীন সময়ে জাহানারা আক্তার ও তার ছোট ছেলে জাহিদ হাসান অবৈধ আধিপত্য বিস্তারে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তাহাদের উঠে যেতে বলে। তখন এস এম মহিউদ্দিন মাহমুদ (মহন) মাঠ থেকে চলে না যাওয়ায় জাহানারা আক্তার ও তার ছোট ছেলে জাহিদ হাসান মহিউদ্দিন মাহমুদকে জানে মারার হুমকি প্রদান করলে তাদের মধ্যে মারামারীর ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এরই জের ধরে গত ২৭-০২-২০২৫ ইং তারিখে জাহানারা আক্তারের বড় ছেলে মো. সিরাজ আলম মাসুদ তাদের বাড়িতে একদল ডাকাত তাহার ছোট ভাই জাহিদ হাসানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার মাকে মারধর করে তাহার মায়ের স্বর্ণালংকারসহ নগদ ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে এবং ঘটনাস্থলে তাহার ভাইয়ের থাকা মোটরসাইকেল নেওয়ার চেষ্টা করে এমন মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য তাহার নিজ ফেসবুক আইডি পোস্ট করে। যাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নাগরপুরবাসীর মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। সেই সাথে জাহানা আক্তার বাদি হয়ে নাগরপুর থানায় আমার নাতি মহনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কোহিনুর বেগম বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার মেয়ে জাহানারা ও তার ছেলে সিরাজ আল মাসুদ অবৈধভাবে আমার সম্পত্তি দখলের হীন উদ্দেশ্যে এসব করে যাচ্ছে। আমার মেয়ে ও তার ছেলে মিলে তাদের গ্রামের বাড়ি পাঁচতারা এলাকায় লোকজনকে বিভিন্ন মামলা ও নির্যাতন করার করনে এলাকাবাসী তাদেরকে সমাজ থেকে বিছিন্ন করে। বর্তমানে তারা টাঙ্গাইল বসবাস করছে। তাই আমি এ বয়সে মেয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হই। যাহাতে সত্যিটা আপনাদের মাধ্যমে সকলে জানতে পারে। এ সময় বড় ছেলের স্ত্রী মিনা বেগম, স্বজন মাহমুদ ও তানিয়া আক্তার রানুসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।