রাজশাহী মহানগরের শাহমখদুম থানাধীন বড়বনগ্রাম এলাকায় এক ফ্রিল্যান্সারের বাসায় সশস্ত্র হামলা, চাঁদা দাবি, মারধর এবং নির্যাতনের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাজ্জাদুর রহমান (২৫), হাসানুর রহমান রাব্বি (২৫), রাকিব হাসান (২৮) ও মো. সানি রহমান (৩০)। সাজ্জাদুর রহমান রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার বড় বনগ্রাম রায়পাড়ার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে, হাসানুর রহমান একই এলাকার বাবর আলীর ছেলে, রাকিব হাসান একই থানার ভাড়ালিপাড়ার আ. মোতালেবের ছেলে ও সানি রহমান বোয়ালিয়া থানার কুমারপাড়ার মো. হাবিবুর রহমান আল বাশারের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা উত্তম বাড়ৈ বর্তমানে শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করেন। গত রোববার (১৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার বান্ধবী জরুরি প্রয়োজনে তার সঙ্গে দেখা করতে যায়। কিছুক্ষণ পর আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ উত্তম বাড়ৈর বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে। আসামিরা তাদের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ভুক্তভোগীদের মারধর করে ও বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর চালায়।
এছাড়াও অভিযুক্তরা বাড়ৈর বান্ধবীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। অভিযোগ রয়েছে, হামলকারীরা তাকে শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেয় এবং রাজি না হওয়ায় মারধর করে ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
উত্তম বাড়ৈ কৌশলে তার সহকর্মীর মাধ্যমে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করে এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়। শাহমখদুম থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু হয়।
শাহমখদুম ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মমিনুল করিমের দিকনির্দেশনায় এবং শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুমা মোস্তারির নেতৃত্বে এসআই নূর মোহাম্মদ সরদার ও তার টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
পরবর্তীতে রোববার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, চাকু ও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।