মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা যদি আন্তর্জাতিক শিপিং রুটে আক্রমণ চালিয়ে যায়, তবে এর জন্য ইরানকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘হুথিদের প্রতিটি হামলা এখন থেকে ইরান থেকে আসা হামলা হিসেবেই গণ্য হবে। ইরানকেই এর জন্য দায়ী করা হবে।’
হুথি বিদ্রোহীদের দাবি, তারা গত দুই দিনে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানে তিনবার হামলা চালিয়েছে। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের ৩০টি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ পরিচালনা করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেছেন, ‘এখন থেকে হুথিদের প্রতিটি হামলা ইরান থেকে আসা হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। ইরানকে এর জন্য গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইরান হুথিদের অর্থ, অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে। তবে তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সামরিক অভিযানে হুথিদের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এতে বেসামরিক হতাহতের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযানের উদ্দেশ্য হুথিদের সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করা এবং আন্তর্জাতিক শিপিং রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
অন্যদিকে, হুথিরা বলেছে, মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনের আল-জোউফ ও হুদাইদাহ এলাকায় ৫৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিশু ছিল। বিদ্রোহীরা জানায়, তারা রেড সি-তে শিপিং রুটে হামলা অব্যাহত রাখবে, যতদিন না ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়।