চায়ের রাজধানী খ্যাত পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল শহরের সৌন্দর্য রক্ষা এবং পর্যটক ও পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করে শহরকে ফুটপাতমুক্ত রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন এর নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযানে নেতৃত্ব দেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম।
ফুটপাত ও রাস্তার পাশে ভাসমান দোকান বসিয়ে যারা দেশ-বিদেশ থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক ও সাধারণ পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় তাদেরকে উচ্ছেদ করতে শহরের স্টেশন রোড, মৌলভীবাজার রোড, ভানুগাছ এবং হবিগঞ্জ রোডে অভিযান পরিচালনা করে ভাসমান দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনা অসাধারণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বাংলাদেশ সময়কে জানান, শ্রীমঙ্গল দেশের সবচেয়ে পরিচিত ও প্রসিদ্ধ পর্যটন নগরী। এই শহরে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণা থাকে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর দিয়ে বিভিন্ন স্পটে পর্যটকরা ঘুরতে যান। সে বিষয়টি আমলে নিয়ে আমরা প্রায় সময় শহরের রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে অবৈধভাবে বসা ভাসমান দোকানপাট অভিযানের মাধ্যমে অপসারণ করে থাকি। কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক আছে তারা সুযোগ পেলেই রাস্তার পাশে দোকান খুলে বসে পড়ে। ওইসব লোকদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গল একটি সুন্দর পর্যটন এলাকায়। এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ বেড়াতে আসেন। তবে শহরে নির্দিষ্ট বাস স্ট্যান্ড না থাকায় এবং রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে যত্রতত্র ভাসমান দোকানপাট গড়ে ওঠায় যানজট সৃষ্টিসহ পথচারীদের যাতায়াতে কিছুটা ভিন্ন ঘটে।
তিনি জানান, আমি নতুন এসেছি এবং শহরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। সমাধানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি, তারই অংশ হিসেবে আজ শহরে জনসচেতনতা বাড়াতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়াও যানজট নিরসন ও শহর সুন্দর রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।