ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

নাফিজ সারাফত ও তার পরিবারের ৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

চৌধুরী নাফিজ সরাফাত

পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ ও ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফতের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগের ওপর তদন্ত চলছে।

তদন্তের পর, চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ ও ছেলে রাহিব সাফওয়ান সারাফত সম্পর্কে জানা গেছে যে, তাদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবগুলোতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলন হয়েছে, যা তাদের আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে করা হতে পারে।

এছাড়া, অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, অভিযুক্তরা তাদের ব্যাংক হিসাবের টাকা স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে তদন্তের স্বার্থে ও অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, গত ৭ জানুয়ারি আদালত তাদের রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থাকা ১৮টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। পরে ২২ জানুয়ারি নাফিজ সারাফতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশও দেওয়া হয়।

দুদকের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তাদের ব্যাংক হিসাব ও অন্য কোনো অবৈধ সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

নাফিজ সারাফত ও তার পরিবারের ৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

আপডেট সময় ০৭:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ ও ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফতের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগের ওপর তদন্ত চলছে।

তদন্তের পর, চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ ও ছেলে রাহিব সাফওয়ান সারাফত সম্পর্কে জানা গেছে যে, তাদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবগুলোতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলন হয়েছে, যা তাদের আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে করা হতে পারে।

এছাড়া, অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, অভিযুক্তরা তাদের ব্যাংক হিসাবের টাকা স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে তদন্তের স্বার্থে ও অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, গত ৭ জানুয়ারি আদালত তাদের রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থাকা ১৮টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। পরে ২২ জানুয়ারি নাফিজ সারাফতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশও দেওয়া হয়।

দুদকের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তাদের ব্যাংক হিসাব ও অন্য কোনো অবৈধ সম্পদ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।