মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তার পর লেবানন কর্তৃপক্ষ ইরানের দু’টি বিমানকে বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেয়নি।
নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েল যে কোনো ইরানি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে পারে বলে মার্কিন সতর্কবার্তা দেওয়ার পর লেবানন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ইরানি বিমানটি বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করলেও, লেবানন কর্তৃপক্ষ তাকে অবতরণের অনুমতি দেয়নি। ইরানকে জানানো হয়, বৈরুতগামী বিমানটি উড্ডয়ন করতে না।
এই সময় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ইসরায়েল লেবাননকে হুমকি দিয়ে জানায় যে, যদি কোনো ইরানি বিমান লেবাননে অবতরণ করে, তারা বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করবে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়াই) দ্বিতীয় বিমানটির উড্ডয়নও বন্ধ করে দেওয়া হলে, লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা বৈরুতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি অবরোধ করে দেয়।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বলেন, বৈরুত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না। তিনি বলেন, লেবানন তাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকবে।
ইসরায়েল বহুবার অভিযোগ করেছে, হিজবুল্লাহ ইরান থেকে অস্ত্র আনার জন্য বৈরুতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে। তবে হিজবুল্লাহ ও লেবাননের নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর লেবাননে এক ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।