“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তারুণ্যের উৎসব শুরু করেছে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এক আনন্দ র্যালি হয়েছে। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, শীতের পিঠা উৎসব, দিনব্যাপী প্রদর্শনী, উন্মুক্ত আরচ্যারি প্রতিযোগিতা এবং দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম ভেন্যু হিসেবে আজ নীলফামারী জেলায় এই কার্যক্রমের সূচনা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমি হয়ে বড় মাঠে (হাইস্কুল মাঠ) গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
তারুণ্যের এই উৎসবের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ওয়ার্ল্ড আরচ্যারি এশিয়ার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, নীলফামারী পৌরসভার প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলার জজ কোর্টের জেপি আবু মোহাম্মদ সোয়েম, বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও প্রশিক্ষণ ও আরচ্যারি উন্নয়ন সাব-কমিটির আহ্বায়ক মো. ফারুক ঢালী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব মোরশেদুল আলম লেবু।
উদ্বোধন শেষে বড় মাঠে শুরু হয় পিঠা উৎসব, লোকসংগীত এবং লোকনৃত্য। দিনব্যাপী উন্মুক্ত আরচ্যারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার প্রতিযোগীরা। বিগিনার আরচ্যারি প্রতিযোগীতায় পুরুষ ও মহিলা বিভাগে মোট ২৪ জন অংশগ্রহণ করেন।
এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোকে জনপ্রিয় করা এবং দেশকে একটি নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।