সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭ বছর কারাবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। তার কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পর হাইকোর্টে আপিল করে তিনি খালাস পান।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলা থেকে তাকে খালাস দেয়। এই রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে মুক্তি পান।
এর আগে, ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫ জন খালাস পান। এছাড়া, ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানার সিইউএফএল-এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক কেএম এনামুল হক, ডিজিএফআই এর সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়। লুৎফুজ্জামান বাবরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ৭৮ দিন রিমান্ডে রাখা হয়। রিমান্ডের সময় তার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগও উঠেছিল।
বাবরের মুক্তির পর তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে নানা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার পাওয়ায় তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
এছাড়া, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায়ও তিনি খালাস পেয়েছেন। ২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত ছিলেন, তবে গত বছরের আগস্ট মাস থেকে একে একে তিনি সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
বাবরের মুক্তি পাওয়ায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং তার মুক্তি ভাটি বাংলার মানুষের জন্য একটি বড় স্বপ্ন পূরণের মতো বলে মনে করছেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হায়দার আলী।