নীলফামারীতে ৭ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক জাতীয় সমন্বয় কমিটি।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জেলা সমন্বয় কমিটির পক্ষে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন নীলফামারী জেলা শাখার সমন্বয়ক কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
সমন্বয়করা বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী সরবরাহের সূতিকাগার। জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে কুরআন শেখার এবং ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষিত মুসলিম নাগরিক তৈরির একমাত্র প্রতিষ্ঠান।
সমন্বয়করা আরো বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা তার সৃষ্টির শুরু থেকে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। উপেক্ষিত সুযোগ-সুবিধা থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন অভিভাবকরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইবতেদায়ী মাদরাসার সংখ্যা ১৫১৯টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনিষ্টিটিউট (আইইআর) কর্তৃক সর্বশেষ জরীপে প্রায় ৮,৯৫৬/-টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি বা ব্যক্তি/ব্যক্তিদের উদ্যোগে ২০ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা চালু আছে। কিন্তু ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হচ্ছে-
(১) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে সরকারি করণের ঘোষণা দেয়া
(২) রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো রেজিষ্টার্ড ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি প্রদান
(৩) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপনে প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে ভাড়া ও রুম ব্যবস্থাপনার শর্তে চালু করার অনুমতি প্রদান
(৪) প্রতিটি গ্রামে এবং শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সরকারি/বেসরকারি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা
(৫) স্বীকৃত সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে উপবৃত্তি ও ফিডারের আওতায় নিয়ে আসা
(৬) ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ সকল মাদ্রাসা তদারকির জন্য মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত, পৃথক ডিও, টিও এবং এটিন করা
(৭) ইবতেদায়ী মাদরাসাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদানে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখতে হলে শিক্ষা অধিদপ্তরে পৃর্থক শাখার ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং এ শিক্ষার প্রতি বৈষম্য দূরকরণের দাবিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষক-ছাত্র সমাবেশকে সফল করতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন সমন্বয়করা।