দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করতে বাধা দেয় তার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস)। তবে তদন্তকারীরা দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে একবার ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার কারণে সেই অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়।
গত ৩ ডিসেম্বর ইউন সুক ইওল দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তাকে ওই সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হতে হয়।
এর পরদিন, ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে তাকে অভিশংসন করা হয় এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে শুরু হয় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত। ইউন সুক ইওল তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের তলবে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ৩১ ডিসেম্বর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
যদিও পরোয়ানার মেয়াদ ৬ জানুয়ারি শেষ হয়, তারপরেও আদালত পরোয়ানার মেয়াদ বৃদ্ধি করে, ফলে আজ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং দেশটির জনগণের মধ্যে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।