সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের জন্য ৩৫ এবং নারীদের জন্য ৩৭ করার সুপারিশ করেছে এ সংক্রান্ত কমিটি। সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে নারী–পুরুষের বয়সের এ পার্থক্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। তবে অবসরের বয়স সম্পর্কে কোনো সুপারিশ দেয়নি কমিটি।
এদিকে এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
সচিবালয়ে আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই দাবি জানান।
মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা পত্রপত্রিকায় দেখেছি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা পুরুষের ৩৫ এবং নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা কত হবে, সে বিষয়ে আমরা কোনো সুপারিশ দেখিনি।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান চাকরি আইনের মাধ্যমে অবসরের বয়স বাড়ানো সম্ভব, সমস্যা হওয়ার কথা না। আমরা অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার দাবি করছি। আশা করছি সরকার অবসরের বয়সও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাড়াবে।’
অবসরের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে মাহবুবুর রহমান বলেন, যিনি ৩৫ বছর বয়সে চাকরিতে প্রবেশ করবেন তাঁকে অবসর সুবিধা নিতে হলে কমপক্ষে ২৫ বছর চাকরি করতে হবে। তাই ৩৫–এর সঙ্গে ২৫ বছর তাঁকে তো দিতেই হবে। না হলে তো তিনি পূর্ণ পেনশন পাবেন না।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।