আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য রত্ন ‘সুন্দরবন দিবস’। এই বিশেষ দিনটিতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও তার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এবং স্থানীয় জনগণ একত্রিত হয়েছে।
সুন্দরবন, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি, আমাদের পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এক অমূল্য প্রতিরক্ষালাইন হিসেবে কাজ করছে।
১৯৯২ সালে রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর, ১৯৯৭ সালে ইউনেসকো সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এই অনন্য বনভূমির বিশাল জীববৈচিত্র্য, যার মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ, সুন্দরবনকে একটি পৃথিবীজুড়ে প্রাকৃতিক বিস্ময়বলী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
২০০১ সালে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই সম্মেলনেই ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। আজকের দিনে, পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি এই বনভূমির প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ বছরের ১৯তম সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা, প্রদর্শনী ও বিভিন্ন পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুন্দরবনকে রক্ষা করা এবং তার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, এই আহ্বান জানাচ্ছে দেশের পরিবেশবিদরা।