অনবদ্য অবদান রাখায় এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান ক্যাংকে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, হান ক্যাংকে তার ‘গভীর কাব্যিক গদ্যের’ জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তার এসব সাহিত্যকর্মে পূর্বের যুগে সাধারণ মানুষের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতন এবং মানবজাতির ভঙ্গুরতার বিষয়টি ওঠে এসেছে।
হান ক্যাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গুয়াঞ্জুতে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ বছর বয়স হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে রাজধানী সিউলে চলে আসেন তিনি। তার পরিবারও সাহিত্যের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বাবা ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক। এছাড়া গান ও সংস্কৃতির প্রতিও নিজেকে মেলে ধরেছিলেন হান ক্যাং। যা তার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছে।
আগেও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছেন হান কাং। বিশেষ করে উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ এর জন্য। ২০১৬ সালে এটি ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ জয় করে। তার সাহিত্যকর্মগুলোতে মানবিক দুর্দশা, যুদ্ধের ভয়াবহতা ও স্মৃতির গভীর জটিলতাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সাথে উঠে এসেছে।
হান কাংয়ের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ এর মাধ্যমে। উপন্যাসটি তিন খণ্ডে রচিত। নোবেল কমিটি বলেছে, তার কাজের বৈশিষ্ট্য হলো ব্যথার দ্বৈত প্রকাশ, মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে একটি সাদৃশ্য, যা প্রাচ্য চিন্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
অপরদিকে ১৯০১ সালে সাহিত্যের প্রথম নোবেল পুরস্কারটি পান ঊনবিংশ শতাব্দির ফরাসি কবি ও প্রাবন্ধিক সুলি প্রুদোম। এখন পর্যন্ত ১২০ সাহিত্যবিদকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে।
ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য, এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।