ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পাচার হওয়া টাকার সঠিক পরিমাণ বের করা সম্ভব না: ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের প্রতিক্রিয়া নব্য ফ্যাসিবাদকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না: নুরুল হক নুর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আওয়ামী লীগের গণহত্যা সমর্থনকারীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের বিরূপ মন্তব্যের জবাব দিলেন রাষ্ট্রদূত মুশফিক আনসারী রাজধানীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার আজ থেকে আর্থিক সহায়তা দেবে ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ বৈষম্যহীন দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি আমরা: প্রধান উপদেষ্টা
সংবাদ শিরোনামঃ
সাবেক মেয়র তাপসকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে ডিবি হারুন ও তার পরিবারকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে দুই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যবিপ্রবিরএডি আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লন্ডনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সাইফুজ্জামান রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের ভাই ফারুকের বিরুদ্ধে হুন্ডি ও অর্থপাচারের অভিযোগ মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি

নিয়োগকর্তার প্রয়োজনে কর্মী নিবে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কাজে, সেখানে কেন টাকা দিয়ে যেতে হবে ?

স্বল্প খরচে ও ক্ষেত্র বিশেষে বিনা খরচে দেশ থেকে বিদেশে কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স আয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ানোর কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন মালয়েশিয়া প্রবাসীর কিছু কথা:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শ্রম বাজারে বাংলাদেশী কর্মীর ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ও দূরদর্শী চিন্তার অভাবে বিশাল এই জনশক্তি রপ্তানীর বাজার হাতছাড়া হয়ে প্রবাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টির অসীম সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় অংকের রেমিট্যান্স আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।এই সেক্টরটি সঠিকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করে দেশ থেকে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠিয়ে রেমিট্যান্স আয় করা সম্ভব।

সাবেক সরকারের আমলে সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে রাজনৈতিক দূর্বৃত্তরা। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদিআরবসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর জন্য ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে চক্রটি। সে টাকা গেলো কোথায়?

কথা হলো, কর্মী পাঠাতে কেন এত টাকা খরচ লাগবে? যেখানে নিয়োগ কর্তার কাজের জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাঠাতে হবে, সেখানে কেন কর্মীদেরকে টাকা দিয়ে বিদেশে যেতে হবে? তাহলে বিষয়টি উল্টো হয়ে গেলো না? কর্মী কাজও করবে আবার টাকাও দিবে। এটা কি সঠিক প্রক্রিয়া হলো?

যেহেতু চাকুরীর নিয়োগকর্তার প্রয়োজনে কর্মী পাঠানো হবে তাই নিয়োগ কর্তাই সকল খরচ বহন করবে এবং আমাদেরকে বরং সার্ভিস চার্জ দিবে। কারণ আমি নিয়োগকর্তার কর্ম সম্পাদনের প্রয়োজনেই প্রবাসে কর্মী পাঠিয়েছি। তাই এমপ্লয়ী এন্ড এমপ্লয়ারের বিনিময় প্রক্রিয়াটি এরকমই হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।

কিন্তুু কিছু দুর্নীতিবাজ অসাধু মানুষ ব্যবসার নামে মানুষের সাথে তথা দেশের বিশাল শ্রম-জনগোষ্ঠীর সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আসছে দিনের পর দিন। জনশক্তি রপ্তানীর বাজারকে চরমভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানির এই মূল্যবান খাতকে সঠিকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালিত করার জন্যে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

জনশক্তি রপ্তানীর বাজার নিয়ে আমি দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে পৃথিবীর অনেক দেশে কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে আমরা প্রবাসে কর্মী পাঠাতে পারছি না। সে কারণে রেমিট্যান্স আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের আর্থিক খাত।

অথচ সম্ভাবনাময় সেক্টরে সততার সাথে চাইলে স্বল্প খরচে ক্ষেত্র বিশেষে বিনা খরচে লক্ষ লক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানো সম্ভব। এতে করে বেড়ে যাবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়। পক্ষান্তরে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা পাবে প্রবাস গমনে আগ্রহী দেশের বেকার যুবসমাজ।

প্রবাসে জনশক্তি প্রেরণ সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পেলে আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করতে সক্ষম হবো ইনশা আল্লাহ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাচার হওয়া টাকার সঠিক পরিমাণ বের করা সম্ভব না: ড. ইফতেখারুজ্জামান

নিয়োগকর্তার প্রয়োজনে কর্মী নিবে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কাজে, সেখানে কেন টাকা দিয়ে যেতে হবে ?

আপডেট সময় ১০:৫৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

স্বল্প খরচে ও ক্ষেত্র বিশেষে বিনা খরচে দেশ থেকে বিদেশে কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স আয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ানোর কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন মালয়েশিয়া প্রবাসীর কিছু কথা:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শ্রম বাজারে বাংলাদেশী কর্মীর ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ও দূরদর্শী চিন্তার অভাবে বিশাল এই জনশক্তি রপ্তানীর বাজার হাতছাড়া হয়ে প্রবাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টির অসীম সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বড় অংকের রেমিট্যান্স আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।এই সেক্টরটি সঠিকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করে দেশ থেকে লাখ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠিয়ে রেমিট্যান্স আয় করা সম্ভব।

সাবেক সরকারের আমলে সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে রাজনৈতিক দূর্বৃত্তরা। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদিআরবসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর জন্য ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে চক্রটি। সে টাকা গেলো কোথায়?

কথা হলো, কর্মী পাঠাতে কেন এত টাকা খরচ লাগবে? যেখানে নিয়োগ কর্তার কাজের জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাঠাতে হবে, সেখানে কেন কর্মীদেরকে টাকা দিয়ে বিদেশে যেতে হবে? তাহলে বিষয়টি উল্টো হয়ে গেলো না? কর্মী কাজও করবে আবার টাকাও দিবে। এটা কি সঠিক প্রক্রিয়া হলো?

যেহেতু চাকুরীর নিয়োগকর্তার প্রয়োজনে কর্মী পাঠানো হবে তাই নিয়োগ কর্তাই সকল খরচ বহন করবে এবং আমাদেরকে বরং সার্ভিস চার্জ দিবে। কারণ আমি নিয়োগকর্তার কর্ম সম্পাদনের প্রয়োজনেই প্রবাসে কর্মী পাঠিয়েছি। তাই এমপ্লয়ী এন্ড এমপ্লয়ারের বিনিময় প্রক্রিয়াটি এরকমই হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।

কিন্তুু কিছু দুর্নীতিবাজ অসাধু মানুষ ব্যবসার নামে মানুষের সাথে তথা দেশের বিশাল শ্রম-জনগোষ্ঠীর সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আসছে দিনের পর দিন। জনশক্তি রপ্তানীর বাজারকে চরমভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে। জনশক্তি রপ্তানির এই মূল্যবান খাতকে সঠিকভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালিত করার জন্যে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

জনশক্তি রপ্তানীর বাজার নিয়ে আমি দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে পৃথিবীর অনেক দেশে কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে আমরা প্রবাসে কর্মী পাঠাতে পারছি না। সে কারণে রেমিট্যান্স আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের আর্থিক খাত।

অথচ সম্ভাবনাময় সেক্টরে সততার সাথে চাইলে স্বল্প খরচে ক্ষেত্র বিশেষে বিনা খরচে লক্ষ লক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানো সম্ভব। এতে করে বেড়ে যাবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়। পক্ষান্তরে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনা পাবে প্রবাস গমনে আগ্রহী দেশের বেকার যুবসমাজ।

প্রবাসে জনশক্তি প্রেরণ সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পেলে আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করতে সক্ষম হবো ইনশা আল্লাহ।