মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দু’দিন ধরে সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের দাপট। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীত এ জেলায়।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
শুত্রুবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের তুলনায় সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও অব্যাহত রয়েছে শীতের প্রকোপ।
স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় ঠান্ডা বাতাস। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে কনকনে শীতের প্রকোপ। সাধ্য অনুযায়ী শীত নিবারণে লেপ, কম্বল ও কাঁথা নিতে হচ্ছে রাতে। সকাল ৯টার পর থাকছে না ঠান্ডার প্রভাব। দিনে-রাতে দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।
ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, গতদিনের থেকে শনিবার ভোর থেকে হালকা কুয়াশা দেখা দিয়েছে। কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঠলেও ঝলমলে রোদের সকাল নেই আজ। প্রকৃতি জুড়ে দেখা গেছে হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। তবে প্রভাব পড়ছে না কোনো কাজকর্মে। সকালেই কাজে যেতে দেখা গেছে দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনায় কয়েকজন শ্রমিকরা জানান, গত কয়েকদিন ঝকঝকে সকাল দেখা গেলেও আজ ভোরে কিছুটা কুয়াশা পড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা লাগে। এরপর আর ঠান্ডা নাই। কিন্তু সকালে কাজে বের হলে শীত বেশি মনে হয়। কাজে যেতে মন না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বেরিয়েছি।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী মো. আনিসুর রহমান বলেন দিনের বেলায় সূর্যের তাপে কিছুটা গরম অনুভব হলেও সন্ধ্যা নামলেই প্রচুর শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালবেলা কুয়াশা পড়ছে। একইসাথে বইছে হিমেল বাতাস।’